কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
হাওড়ার মূল শহরের সব বড় রাস্তার পাশেই রয়েছে ভ্যাট। বেশ কিছু বাজারের ভ্যাটগুলিও বড় রাস্তার আশপাশে। ফলে সমস্যা বাড়ছে মানুষের। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে পুরসভা কিছু ব্যবস্থা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছিল। ভ্যাটগুলিতে কোন সময় ময়লা তোলার গাড়ি আসবে, তা বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ খুব একটা হয়নি বলেই অভিযোগ নাগরিকদের একাংশের।
সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে হাওড়ার সালকিয়া থেকে শিবপুর, বালি থেকে বি গার্ডেন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় যানজটের অন্যতম কারণ হল এই সময়ে আবর্জনা পরিষ্কার। হাওড়ার প্রাণকেন্দ্রে ময়দান থেকে কিছুটা দূরে নেতাজি সুভাষ রোডের পাশেই রয়েছে কালীবাবুর বাজার। এই বাজারে যাবতীয় আবর্জনা জমা হয় নেতাজি সুভাষ রোডের পাশের ভ্যাটে। সকাল ন’টা-সাড়ে ন’টা নাগাদ পে লোডার ব্যবহার করে আবর্জনা তোলা শুরু হয়। এর জেরে একেবারে বরবাদ হয়ে যায় ব্যস্ত সময়ের যান চলাচল। আশপাশের রাস্তা ও ময়দান চত্বরে গিয়ে পড়ে এর প্রভাব। ময়দান চত্বরের আরেক দিকে গোরবাজারের ভ্যাটের জন্য পঞ্চাননতলা রোডে যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত সেন বলেন, প্রত্যেকদিন এই সময়টায় আবর্জনা তোলা হয়। একে তো রাস্তা যথেষ্ট সঙ্কীর্ণ। তারপর ময়লা তোলার ওই বড় গাড়ি এসে দাঁড়ালে বাস তো দূরের কথা, ছোট গাড়িও অতিক্রম করে যেতে পারে না সহজে। আবর্জনা তুলে না সরানো পর্যন্ত দাঁড়িয়েই থাকতে হয় অনেক গাড়িকে। সময়টা আরও সকালের দিকে করা যায় কি না, তা প্রশাসনের ভেবে দেখা দরকার। এর জন্য পুরো শহরে যানজট বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। কদমতলার মোড় থেকে ইছাপুরের দিকে যেতে গেলে রাস্তার পাশে এরকম একটি ভ্যাটের জন্য কাজের দিনগুলিতে যানজট লেগে থাকে।
সালকিয়া স্কুল রোড, বালি এলাকার জিটি রোড সহ শহরের বহু জায়গা এই সমস্যায় ভুগছে। সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা পুরসভা করলেও তা যে মেটেনি পুরোপুরি, সে কথা স্বীকার করছেন প্রশাসনিক কর্তারাও। এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী বলেন, এই সময়ে আবর্জনা তোলার জন্য যানজটের সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। তবে বেশিরভাগ ভ্যাটেই বিভিন্ন সব্জি বাজারের বর্জ্য এসে পড়ে। সকাল ন’টার আগে তা তুলে নিলে ওই বর্জ্য সারাদিন জমেই থাকবে। এটি একটি বাস্তব সমস্যা। এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, সকাল ন’টার পর কাজ শুরু করায় অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজে যেতে সমস্যা তো হচ্ছেই মানুষের। কিন্তু বাড়ি বাড়ি সংগ্রহ করা আবর্জনা এই সময়ের আগে তো বড় ভ্যাটে এনে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। খোলা ভ্যাট আস্তে আস্তে তুলে দেওয়ার পথে এগবে পুরসভা। এছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধানের রাস্তা দেখা যাচ্ছে না।