পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরুলিয়ার ছৌ, বীরভূমের বায়বেঁশের পাশাপাশি হাওড়া জেলার কালিকাপাতাড়ি রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন লোকশিল্প। কালিকাপাতাড়ি হল হাওড়া জেলার নিজেস্ব লোকসংস্কৃতি। তবে জেলার অন্য কোথাও নয়, একমাত্র শ্যামপুরের রতনপুর গ্রামের তিনটি দল এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কালিকাপাতাড়ি হল মূলত পুরাণ ও মহাকাব্যের ভিত্তিতে মুখে মুখে রচিত হয় এক-একটি টুকরো টুকরো কাহিনী। আর বাদ্যযন্ত্র সহকারে পরিবেশন করা হয়। তবে শুধুমাত্র পৌরাণিক কাহিনী নয়, বর্তমানে সামাজিক ঘটনার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী সহ একাধিক প্রকল্প স্থান পেয়েছে এই কালিকাপাতাড়ি শিল্পে।
তবে অতীতে গ্রামবাংলার এই শিল্পে জনপ্রিয়তা থাকলেও একসময় সরকারি উদাসীনতায় ইতিহাসের পাতায় স্থান পাওয়ার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল জেলার অন্যতম এই প্রাচীন শিল্প। যদিও রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারের উদ্যোগে লোকপ্রসার শিল্পের মাধ্যমে লোকশিল্পীদের পুনরুজ্জীবনের ফলে হারিয়ে যাওয়া এই শিল্প প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শিল্পীরা মাসিক ভাতা পাওয়ায় নতুন উদ্যমে শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন।
কালিকাপাতাড়ি শিল্প সম্পর্কে রতনপুর রত্নমালা কালিকাপাতাড়ি নৃত্য সংস্থার নরোত্তম রায় বলেন, আগে এই শিল্পের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও বর্তমানে সেই জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে। আগে রাজ্যের একাধিক জেলায় অভিনয়ের ডাক পড়লেও এখন আর সেভাবে ডাক না পড়ায় অনেকেই হতাশ। তবে যেভাবে সরকার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে নতুন প্রজন্ম অনেকেই এই পেশায় উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, আগামীদিনে দেশের অন্যতম প্রাচীন লোকশিল্প হিসাবে জায়গা করে নেবে হাওড়া জেলার কালিকাপাতাড়ি।