কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব নতুন ঘটনা নয়। বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে দুই নেতার গোষ্ঠী কোন্দলের কথা। পুরভোটের প্রাক্কালে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের সোচ্চার হওয়ায অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসকদলকে। ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুণ্ডু বলেন, প্রোমোটারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক বিল্ডিংয়ের বেআইনি ছাড়পত্র দিয়েছেন চেয়ারম্যান। ১১ নং ওয়ার্ডে তারকেশ্বর স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশে বেআইনি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ আমরা বন্ধ করার চেষ্টা করলেও চেয়ারম্যানের মদতে তা তৈরি হয়েছে। বিল্ডিংটির অনুমতি ছাড়া বেসমেন্ট তৈরি করেছে, পুরসভার ড্রেন চাপা দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দোকান নির্মাণ করেছে। রেললাইনের কয়েক হাত দূরে বেআইনি নির্মাণের ফলে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।
তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির চারপাশে ছাড় দেওয়া হয়নি। তিন তলার অনুমতি নিয়ে চারতলা নির্মাণের কাজ চলছে। একাধিক অভিযোগ থাকলেও বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছে। ওই বিল্ডিংটির পুনরায় নকশা তৈরি করতে ইঞ্জিনিয়াররা রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি দেন বলে তাঁর দাবি। লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে বলেন। তার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সমস্ত দায়ভার গিয়ে পড়বে পুরসভা ও বর্তমান সরকারের উপর। ব্যক্তিস্বার্থে অনুমোদন দেওয়া বিল্ডিং তৈরির দায়ভার পুরসভা নেবে কেন?
তাঁর আরও অভিযোগ, ৫ নং ওয়ার্ডে বেআইনি পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরি বন্ধের নোটিস পুরসভা থেকে দেওয়া হয়েছিল। এরপরেও কীভাবে বিল্ডিংটি তৈরি হল, তা আমাদের জানা নেই। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন কর্তৃপক্ষের। পুরসভার পূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, ১১ নং ওয়ার্ডের বেআইনি বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলাম আমি। নির্মাণের সম্মতিপত্রে আমার স্বাক্ষর নেই। এরপর আমি এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি।