গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বারুইপুর পুরসভার মোট ১৭টি আসন। এরমধ্যে ১৬টি তৃণমূলের হাতে। যথাক্রমে ১ (মহিলা), ২( পুরুষ), ৩ (মহিলা) ৫(মহিলা), ৬ (মহিলা), ৭(মহিলা), ৮(পুরুষ), ৯(পুরুষ), ১০ (মহিলা), ১১ (পুরুষ), ১২ (পুরুষ), ১৩ (পুরুষ), ১৪ (মহিলা), ১৫(পুরুষ), ১৬ (পুরুষ), ১৭(পুরুষ)। এর বাইরে একটি মাত্র ওয়ার্ড ৪ নম্বর ( পুরুষ) বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির দখলে রয়েছে। এবার আসন সংরক্ষণ নিয়ে যে খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে বেশ কিছু ওয়ার্ড অদলবদল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২, ৭, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে ৭ এবং ১৪ মহিলা তফসিলি শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এছাড়া ৪, ৮, ১১ এবং ১৫ সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। সংরক্ষণের ঘেরাটোপে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রয়াত অরূপ ভদ্রের ভাই জয়ন্ত ভদ্র ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারছেন না। কারণ, তফসিলি শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট হয়েছে। বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন ওই ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেখভাল করে আসছেন জয়ন্তবাবু। ওইখানে বড় বাজেটের পুজো থেকে নিয়মিত নাগরিকদের সঙ্গে জনসংযোগ রয়েছে তাঁর। সেই জায়গা থেকে তাঁর ওয়ার্ড হাতছাড়া হয়ে যাওয়াটা দলের অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। একইভাবে ১৫ নম্বরের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার তৃণমূলের স্বপন মণ্ডলের ওয়ার্ড এবার মহিলা সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। ফলে তিনিও সেখান থেকে দাঁড়াতে পারছেন না। স্বপনবাবুর অনুগতদের মধ্যে এ নিয়ে অসন্তোষ দানা বেধেছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এক সময়ের দাপুটে নেতা প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান মজফফর আহমেদ। ওই ওয়ার্ডও মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে তিনিও দাঁড়াতে পারবেন না। কাউন্সিলার বিকাশ দত্তর ৮ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তাঁর অনুগতরা দিশাহারা। ৭ নম্বর ওয়ার্ডটি দাপুটে নেতা বিভাস সর্দারের। বিগত নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়াতে তাঁর মা রানু সর্দার কাউন্সিলার হন। এবার তা তফসিলি মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট হয়েছে। ফলে বিভাস সর্দারের এবারও দাঁড়াবার কোনও জায়গা রইল না। তাতে অনুগতরাও চটে গিয়েছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা থেকে এবার তফসিলি মহিলা হয়েছে। ফলে কাউন্সিলার রূপা দত্ত দাঁড়াতে পারবেন না। তা নিয়ে এলাকায় সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। বারুইপুর পুরসভার বিজেপির জেতা ওয়ার্ড হল ৪ নম্বর। তার কাউন্সিলার প্রীতম দাস। তাও মহিলা সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রীতমবাবু এবার দাঁড়াতে পারছেন না। বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, সংরক্ষণের বিষয়টি দলগতভাবে করা হয় না। কারও কোনও হাত থাকে না। সরকারি নিয়মে এর একটা অঙ্ক রয়েছে। নির্বাচন দপ্তর থেকে সেই অঙ্ক এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩ নম্বর রোস্টার ধরে তা করা হয়েছে। সেই বিষয়টি জানলে কারও ক্ষোভ থাকবে না। তাছাড়া এ নিয়ে কারও কিছু বলার থাকলে, জেলা নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে আপত্তি জানাতে পারেন।