রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন হাসানপুরে বাড়িতে বসেই কাঁদতে কাঁদতে মৃতা কিশোরীর মা বৈশাখী দেবনাথ মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমার মেয়ে কারও সাথেপাঁচে ছিল না। ভর্তি হবে বলে স্কুল যাচ্ছিল। সেই নিস্পাপ মেয়েকে খুন করে দেওয়া হল। বৈশাখী দেবীর প্রশ্ন, কি করেছিল আমার মেয়ে? কেন তার উপর হামলা হল? এর জবাব এখনও পুলিস দিতে পারেনি। গরিব বলে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাব। এক পড়শি মহিলাও ওই ঘটনায় পুলিসের সক্রিয়তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এলাকার মানুষের রাস্তা অবরোধের পর পুলিস ২ জনকে ধরেছে। কিন্তু হামলার কারণ কি সে কথা ধৃতদের কাছ থেকে বের করতে পারেনি। কেন তা বার করতে এত সময় লাগছে? তা নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছে। এদিকে, কালিকাপুর বাসন্তী বিদ্যাপীঠের ওই ছাত্রীর উপর হামলা ও মারা যাওয়ার ঘটনায় হাসানপুর জুড়ে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এদিন সে কথা অনেকেই জানিয়েছেন। বাসন্তী বিদ্যাপীঠের অনেক পড়ুয়ার বাবা-মা এদিন জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীর মেয়েরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, সকলেই আতঙ্কে ভুগছেন। বাসন্তী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা স্বীকার করেন, ওই ঘটনায় আতঙ্ক হওয়া স্বাভাবিক। তিনি বলেন, আতঙ্ক কাটাতে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। স্কুলের বাইরে প্রতিদিন পুলিসি টহল চলছে। যাতে অভিভাবকদের মনে আস্থা ফেরানো যায়। পুলিস সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তবে পুলিসের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের ধরা ও তাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে সক্রিয়তা রয়েছে। কোথাও কোনও ফাঁক রাখা হবে না। পুলিস সুপার বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, ওই পড়ুয়ার জবানবন্দি নিয়ে বিষয়টি শক্ত করতে। কিন্তু আচমকা সে মারা যাওয়াতে সেই সুযোগ হল না। তবে ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে যে দু’জনকে ধরা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছিল। এদিন অতিরিক্ত খুনের মামলা করা হল। জেওই ঘটনায় দু’জন কিশোরকে ধরা হলেও তারা যে হামলা করেছে সে কথা এখন স্বীকার করেনি। ফলে তা নিয়ে পুলিস চাপের মধ্যে রয়েছে।