কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মূল গেট দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, স্টেশনের সামনেই বেলেঘাটা মেন রোডে নিজেদের ইচ্ছামতো বাস চালান চালকরা। বেশি যাত্রী তোলার জন্য রাস্তা জুড়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বেসরকারি বাস। তার জেরে সকাল-সন্ধ্যায় অফিস টাইমে এই এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। তাতে ট্রেন ধরতে আসা বহু যাত্রী সমস্যায় পড়েন। শিয়ালদহ স্টেশনের সামনেই এক শপিং মলের কাছে দাঁড়িয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছিলেন কয়েকজন অফিসযাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, বেলেঘাটা মেন রোডের যানজট পার করে একটু এগলেই ফের হোঁচট খেতে হয়। এমনিতেই স্টেশন চত্বরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য একাধিক জায়গায় ঘিরে রাখা হয়েছে। তার ফলে যাত্রীদের চলাফেরার জায়গা এমনিতেই সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। তার উপরে ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি, ঠেলাগাড়ির ভিড়ে স্টেশনে ঢোকা যে কতটা কঠিন, তা ভুক্তভোগী যাত্রীরাই টের পান। এরপর একটু বৃষ্টিতেই স্টেশনে ঢোকার মূল রাস্তায় জল জমে যায়। জলের মধ্য দিয়েই হেঁটে স্টেশনে ঢুকতে হয় যাত্রীদের। তাতে ভোগান্তি বাড়ে আরও।
স্টেশনে ঢোকার জন্য বহু যাত্রী আবার এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকের রাস্তা দিয়ে আসেন। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসার একটি রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তার ধারে রয়েছে ফুটপাতও। কিন্তু, সেখানে সার দিয়ে নানা দোকান। ফুটপাতে চলছে বিকিকিনি। আবার কোথাও রমরমিয়ে চলছে খাবারের দোকান। যাত্রীদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হয়। একই চিত্র ডিআরএম বিল্ডিংয়ের দিক থেকে স্টেশনে আসার রাস্তাটিতেও। সেখানেও ফুটপাতেই চলছে দোকান। এখানেই শেষ নয়, যাত্রীদের বক্তব্য, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠার জন্য যে সিড়ি রয়েছে, তার মুখেই পণ্য তোলা-নামানোর জন্য ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকে। তাতে যাত্রীদের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। সিঁড়িতেও ফুল, ফল, মোবাইলের সরঞ্জামের বিক্রিবাটা চলে নিত্যদিন। যাত্রীদের দাবি, অফিস টাইমের ভিড়ে স্টেশন থেকে বের হওয়া বা স্টেশনে ঢোকার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধা পেতে হয়। বিষয়টি রেলের দেখা দরকার। কী বলছেন রেলের কর্তারা? পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে যেহেতু মেট্রোর কাজ চলছে, তাই হয়তো যাত্রীদের সাময়িক কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে এই কাজ শেষ হয়ে গেলে যাত্রীদেরই সুবিধা হবে। পূর্ব রেলের আর এক কর্তার কথায়, যাত্রীদের সুবিধার জন্যই মেট্রোর কাজ যে জায়গায় হয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে ব্যারিকেড খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজ যেহেতু এখনও চলছে, তাই পাকাপাকিভাবে কিছু করা যাচ্ছে না। আগামী দিনে এই সমস্যা আর থাকবে না।