রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এলাকার কাউন্সিলার তথা মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। তিনি বলেন, দু’দিন আগেই লরির ধাক্কায় এই উদ্যানের লোহার গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কয়েকদিন পরেই এই উদ্যানটি উদ্বোধন হওয়ার কথা। সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙা গেট মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সেইমতো প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। শনিবার সকালে মাপজোকও করে যান পুর আধিকারিকরা। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা। উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। একটি বাচ্চা মেয়ে এভাবে মারা যাবে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার খবর পেয়ে ট্যাংরা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। সুশীলার মা আরতি হালদার এদিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। এদিন বিকেলে বাড়ি ফেরার পর জানতে পারেন, তাঁর বড় মেয়ের গায়ের উপরে লোহার গেট ভেঙে পড়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান। তারপরই জানতে পারেন, মেয়ে মারা গিয়েছে।
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই উদ্যানের সামনে ভিড়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বললেন, গেটটি যখন ভেঙেই গিয়েছিল, তখন আলাদা করে খুলে রেখে দিতে পারত পুর প্রশাসন। কিন্তু তা না করে ওই অবস্থায় রেখে দেওয়া উচিত হয়নি। তাহলে এতবড় বিপদ ঘটত না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতোই এদিনও এলাকার বাচ্চারা ওই উদ্যানে খেলা করছিল। সুশীলাও তাদের মধ্যে ছিল। আচমকা ভেঙে পড়ার আওয়াজ হয়। তখন গেটের দিকে পিছন করে মাঠে বসে খেলা করছিল সুশীলা। তার উপরেই চাপা পড়ে সেটি। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, উদ্যানের গেটটি দু’পাল্লার। যেটি ঠিকঠাক রয়েছে, তাতেও কয়েকজন শিশু-কিশোর ঝুলছিল। কিন্তু ভেঙে পড়া গেটটিতে শুধু শাওনাওয়াজ ছিল। নাহলে আরও বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। এদিন ঘটনার পর পুর আধিকারিকরা এসে লোহার গেটটিকে অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে এলাকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নয়াবস্তি সংলগ্ন মুসলিম ক্যাম্পের বাসিন্দা মহম্মদ শাহনাওয়াজের শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক না হলেও তার মাথা ফেটে গিয়েছে। তার পরিজনরা অবশ্য এনিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি।