গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত এএসআইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও পকসো আইনে কেস করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এএসআই বসিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জেলা পুলিস সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, অভিযুক্ত এএসআইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাড়োয়া থানার মিনাখাঁ ব্লকের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাছড়া এমসিএইচ হাইস্কুল মাঠে ছাত্র-যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। স্কুলের দশম ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগানো হয়। নির্বিঘ্নে সমস্ত কিছু সম্পন্ন করতে হাড়োয়া থানা থেকে পুলিস অফিসারদেরও পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেল ৪টা নাগাদ অনুষ্ঠান শেষের সময় একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী তথা স্বেচ্ছাসেবক কীভাবে পুলিসের চাকরি পাওয়া যাবে তা নিয়ে এএসআই জাহাঙ্গির আলমের কাছে জানতে চায়। ওই সময় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে এক মাধ্যমিকের ছাত্রীও ছিল। স্কুলের দোতলার একটি ঘরে এই সংক্রান্ত কথোপকথন হওয়ার সময় অভিযুক্ত এএসআই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার শুরু করে। এই ঘটনা দেখে মাধ্যমিকের ছাত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
এরপর অভিযুক্ত পুলিস আধিকারিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর চিৎকারে স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা দ্রুত পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। অনুষ্ঠানে থাকা স্থানীয়রা ওই পুলিসকে অফিস ঘরে আটকে রাখে। খবর চাউর হওয়ার পর দলে দলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে পুলিস আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে হাড়োয়া থানার বড় পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি বেগতিক হয়। পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুন লাগানোর চেষ্টা করে জনতা। একটি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিস লাঠিচার্জ শুরু করে বলে অভিযোগ। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পাল্টা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। এরপর আশপাশের থানা থেকে বিপুল পুলিস, র্যা ফ ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ শুরু করে।
শেফালি প্রামাণিক নামের স্থানীয় গৃহবধূ বলেন, রাগে পুলিসের লোক রাতে ঘরে ঘরে ঢুকে মেরেছে। তাদের হাত থেকে মেয়েরাও রক্ষা পায়নি। বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে। ওই পুলিস আধিকারিকের কঠোর সাজা চাই। যেসব পুলিস কর্মী রাতে এসে তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। সঞ্জয়কুমার পাত্র বলেন, পুলিস যদি ধর্ষণ করে তাহলে মানুষ কার কাছে বিচার চাইতে যাবে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম। সেকারণে পুলিস বেধড়ক মারধর করেছে। রান্না করা খাবার লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে।