বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
শনিবার ঝিলপাড়ে গিয়ে দেখা গেল, চারপাশেই বাইনোকুলার, টেলিলেন্সযুক্ত ক্যামেরা ইত্যাদি সরঞ্জাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিক্ষকস্থানীয় এক-দু’জন, সঙ্গে জনা দশেক ছাত্রছাত্রী নিয়ে। আয়োজক সংস্থার পদাধিকারী তথা পক্ষীপ্রেমী অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, পাখিগণনা বা সুমারি সকালের দিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করা হয়। ফলে বাস্তবে আরও কিছু পাখির অস্তিত্ব থাকলেও তা সুমারির সময় না দেখা দিলে হিসেবের মধ্যে থাকে না। এই নিয়মনীতির মধ্যে অপূর্ববাবুরা এবার সাঁতরাগাছি ঝিলে মোট ৪ হাজার ৫৪০টি পরিযায়ী পাখি গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগটাই লেসার হুইসলিং ডাক বা ছোট সরাল প্রজাতি। গত বার মাত্র দু’টি চিহ্নিত করা গেলেও এবার তিনটি ফেরুজিনাস ডাক বা ভূতিহাঁস দেখা গিয়েছে। এই পাখিটি লুপ্তপ্রায় প্রজাতির।
তবে এবার নর্দার্ন পিনটেল বা দিঘহাঁস একটিও আসেনি। গতবছরও পরিযায়ী এই পাখিটি ১০-১২টি এসেছিল। এবার তা একটিও দেখা না যাওয়ায় পক্ষীপ্রেমীদের মন খারাপ। অপূর্ববাবু বলেন, এবার গুজরাতের দিকে নভেম্বর মাসের দিকে একসঙ্গে প্রায় ২০ হাজার পিনটেল মারা যায়। এবার তার প্রভাব সাঁতরাগাছি ঝিলে পড়তে পারে। তবে সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয় এভাবে। গত বছর এই সংস্থার তরফে এখানে মোট ৩ হাজার ২০০টি পাখি গণনা হয়। এবার সংখ্যাটা বেড়েছে।
তবে এবার ছাত্রছাত্রী এবং কমবয়সিদের উৎসাহ অনেকটাই বেশি বলে জানান পক্ষীপ্রেমী সৌম্য রায়। স্থানীয় বাকসাড়া স্কুল, বিদ্যাসাগর উওম্যানস কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এসেছিলেন প্রচুর সংখ্যায়। সৌম্যবাবুর দাবি, এই দু’দিনে তাঁরা মোট ৫০০ জনকে পাখি দেখানো ও চেনানোর কাজ করবেন বলে ঠিক করেছেন। সম্প্রতি রাজ্য বন দপ্তরের তরফেও সাঁতরাগাছি ঝিলে পাখি চেনানোর শিবির করা হয়েছিল। তারাও জানিয়েছিল, এবার পাখির সংখ্যা বাড়লেও ধরন কমেছে। এদিকে, এদিন আমতার কান্দুয়াতে বন ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে হাওড়া জেলা বনবিভাগ।