রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শুক্রবার সকাল ১২টায় নিউটাউনের বেসরকারি ক্যান্সার হাসপাতালে গিয়ে এয়ারপোর্ট থানার পুলিসকর্মীরা দুই ক্যান্সার আক্রান্তকে রক্ত দিয়ে আসেন। থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যান্সার আক্রান্ত ওই তিন বছরের শিশুর বাবা কমলেশ দেবশর্মা শুক্রবার এয়ারপোর্ট থানার আইসি শান্তনু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কমলেশবাবু রায়গঞ্জে জেলা পুলিস সুপারের অফিসে ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ফোর্সে (এনভিএফ) কর্মরত। ছোটোবেলা থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত তাঁর তিন বছরের সন্তান। সেই তিন বছরের সন্তান এখন নিউটাউনের একটি ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসারত।
অন্যদিকে, হাওড়ার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অনীশ কর্মকারও ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ওই একই হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাচক্রে অনীশ কর্মকারও এয়ারপোর্ট থানার বর্তমান আইসি’র পূর্বপরিচিত। তিনি বলেন, দুটি ঘটনার খবর পাওয়ার পরই নিজে রক্ত দেব বলে মনস্থির করে ফেলেছিলাম। কিন্তু, থানার সহকর্মীরা রক্ত দেবেন কি না, সেবিষয়ে তখনও নিশ্চিত ছিলাম না। তবে দু’জন রোগীর এভাবে রক্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে জানার পর, থানায় সকলকে ঘটনাটি বলেন। আইসি’র দাবি, তিনি বলার সঙ্গে সঙ্গে থানার প্রায় অধিকাংশ পুলিসকর্মীই রক্ত দিতে প্রস্তুত হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত এয়ারপোর্ট থানার ১০ জন পুলিসকর্মী নিউটাউনের ওই থানায় গিয়ে রক্ত দিয়ে আসেন।
থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ১০ জন পুলিসকর্মী রক্ত দিতে গিয়েছিলেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত সাতজন পুলিসকর্মী রক্ত দিয়েছেন। তাঁরা হলেন, শান্তনু সরকার (আইসি), রাজা পাল, শেখ মিন্টু, সাজিত আলি নস্কর, চিরঞ্জিত শর্মা, সঞ্জিত দাস এবং সঞ্জীবকুমার পাল। শান্তনুবাবু জানিয়েছে, তাঁরা দুই রোগীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে অন্য কেউ সমস্যায় পড়লে, এয়ারপোর্ট থানা এভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।