বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
স্টেট জু অথরিটি সূত্রের খবর, নিউটাউনের ইকো পার্ক সংলগ্ন ১০ একর জমির উপর বর্তমানে একটি হরিণালয় রয়েছে। সেখানেই এই নয়া চিড়িয়াখানাটি তৈরি করা হবে। তবে আপাতত পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা নয়, মিনি-জু হিসেবেই সেটি অনুমোদন পেয়েছে কেন্দ্রের। সম্প্রতি এই হরিণালয়টিকে মিনি-জু হিসেবে তৈরি করার জন্য সেন্ট্রাল জু অথরিটির (সিজেডএ) কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের পক্ষে। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে কেন্দ্র হরিণালয়ের ‘মাস্টার লেআউট প্ল্যান’কে সম্প্রতি মঞ্জুর করেছে। এরপরেই এই হরিণালয়কে কীভাবে মিনি-জু’তে রূপান্তরিত করা যায়, সেবিষয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দেয় স্টেট জু অথরিটি (এসজেডএ)।
সদস্য সচিব ভি কে যাদব জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মাস্টার লেআউট প্ল্যান কেন্দ্রের মঞ্জুরি পেয়ে গিয়েছে। এবার পরবর্তী ধাপে কোথায়, কীভাবে খাঁচাগুলি তৈরি করা হবে? খাঁচার সেই নকশা তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আশাবাদী জানুয়ারির মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরে নকশাগুলি চূড়ান্ত করার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে সিজেডএ’তে পাঠানো হবে। সেই ছাড়পত্র মেলার পরই আগামী আর্থিক বর্ষ থেকে এই নয়া চিড়িয়াখানা তৈরির কাজ শুরু করা হবে।
আপাতত ধাপে ধাপে বন্য পশুপাখিদের জন্য খাঁচা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত বিদেশি পশু-পাখিদের এখানে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে দপ্তর। সেক্ষেত্রে এখানে হাতি-সিংহ-বাঘ না আসলেও, জিরাফ, জেব্রা, জলহস্তি, কুমিরের স্থান হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিদেশি পাখিরও সমাহার থাকবে। হরিণের জন্য আলাদা আলাদা খাঁচা তৈরি করা হচ্ছে। একটি খাঁচায় সম্বর, চিতল, বার্কিং ডিয়ার রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, নীলগাই, চিতল সহ অন্যান্য হরিণ রাখা হবে। কিন্তু, বাঘ, সিংহ বা হাতির খাঁচা কেন তৈরি করা হচ্ছে না? সেবিষয়ে এসজেডএ’র দাবি, এখানে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, তাতে ওই সমস্ত প্রাণী রাখার মতো খাঁচা তৈরি করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে যদি আরও জায়গা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে অন্যান্য প্রাণী আনা যেতে পারে বলেই ইঙ্গিত বনকর্তাদের। এতে এসজেডএ’র আয়ের পাশাপাশি দর্শকদের কাছে এক নয়া ‘পর্যটন কেন্দ্র’ হয়ে উঠবে নিউটাউন।