কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের এক লোহার ব্যবসায়ী তাঁর কিছু পেমেন্ট নিতে সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন। একাধিক পেমেন্ট সংগ্রহের পর তিনি পোস্তার একটি গেস্ট হাউসে থাকার জন্য যান। সেখানেই এদিন দুপুর দু’টো নাগাদ এক যুবক হাজির হয়। নিজেকে পুলিস পরিচয় দিয়ে সেই যুবক ব্যবসায়ীকে জানায়, তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিনি বেআইনিভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা তুলছে, এবিষয়ে কিছু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সেই কারণে পুলিস তল্লাশি করতে চায় হোটেলের ঘর। ব্যবসায়ীর দাবি, পুলিস শুনে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই প্রথমে বাধা দেননি। কিন্তু, তল্লাশি চালিয়ে হোটেলের ঘরে থাকা ২১.৮৫ লক্ষ টাকা যখন ওই ‘পুলিসকর্মী’ নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চায়, তখন বাধা দেন ব্যবসায়ী। এরপরে ফের ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখালে তিনি আর বাধা দেননি। এরপরে যুবক ওই টাকা নিয়ে হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ী চিৎকার করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে লোক জড়ো হয়ে যায়। পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পোস্তা থানার পুলিস প্রথমে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি থেকে অভিযুক্ত যুবকের ছবি সংগ্রহ করে। ব্যবসায়ী অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলে, বিভিন্ন জায়গায় তার সন্ধান শুরু হয়।
সন্ধ্যায় একটি সূত্র থেকে পুলিসের কাছে খবর আসে অভিযুক্ত যুবককে রবীন্দ্র সরণী এলাকায় দেখা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস সেই জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। আগের সিসিটিভির ফুটেজের সঙ্গে এখানকার ফুটেজ মিলে যাওয়ায়, পুলিস নিশ্চিত হয়ে যায় অভিযুক্ত সম্পর্কে। এরপরেই রবীন্দ্র সরণীতে একটি বড় বিপণি কেন্দ্রের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম শেখ সাকিল, হাওড়ার ঘুসুড়ি এলাকার বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে আপাতত ১২.৮১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকাও উদ্ধার চেষ্টা করছে পুলিস।