বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে এই চক্রের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেন। ধৃতরা হল, মুদাস্সর খান এবং ইরফানউদ্দিন। গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা এই খবর জানিয়েছেন। ধৃতদের কাছ থেকে গোয়েন্দারা স্কিমার মেশিন, ল্যাপটপ, ৩৮টি ক্লোন কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছেন। ধৃতদের ল্যাপটপ থেকে গোয়েন্দারা প্রায় তিনশো ব্যক্তির ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য পেয়েছেন।
আদতে গয়ার বাসিন্দা হলেও ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতার তিলজলা ও যাদবপুর এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল। একটি মাদ্রাসা থেকে দশম শ্রেণী পাশ মুদাস্সর ও ইরফানউদ্দিন শুধু কলকাতা নয়, মুম্বই, হায়দরাবাদের মতো শহরে এই কায়দায় এটিএম জালিয়াতি চালাচ্ছিল।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে মোটা টাকা কমিশনের টোপ দিয়ে কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের মতো শহরের নামী-দামি রেস্তরাঁর ওয়েটারদের সঙ্গে যোগসাজশ গড়ে তুলত। তারপর সেই ওয়েটারের হাতে স্কিমার মেশিন তুলে দেওয়া হতো। লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাইপাসের এক নামী বিরিয়ানি রেস্তরাঁর নাম পাওয়া গিয়েছে। এবার এই ওয়েটারদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে লালবাজার।
ওয়েটারদের কাছ থেকে ডেটা হাতে পাওয়ার পর এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে শিলিগুড়ি, কার্শিয়াং, বিহার সহ দূরের কোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার অছিলায় সেখানকার এটিএম থেকে টাকা তুলে নিত। যেমন, বৃহস্পতিবার রাতে তারা শিলং যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল। এই ভাবে গয়া গ্যাংয়ের সদস্যরা গত সাত-আট মাসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।