গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আসন্ন পুরভোটের প্রাক্কালে শুক্রবার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ২৯ নং ওয়ার্ড জেনারেল মহিলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে তাঁর ওই ওয়ার্ডে দাঁড়াতে কোনও অসুবিধা হবে না। একইভাবে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের ৩ নং ওয়ার্ডও জেনারেল হওয়ায়, তাঁর সেই ওয়ার্ডে দাঁড়াতে কোনও অসুবিধা হবে না। পুরসভার চেয়ারপার্সন অনিতা মণ্ডলের ৩০ নং ওয়ার্ড গতবছর জেনারেল মহিলা ছিল। এবছর তা শুধু জেনারেল হয়েছে। তবে তাতেও তাঁর সেখানে দাঁড়াতে কোনও অসুবিধা থাকছে না। এমনকী বিধাননগর পুরসভার অধিকাংশ হেভিওয়েট মেয়র পারিষদরাই নিজেদের ওয়ার্ডেই ফের দাঁড়াতে পারবেন। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে মেয়র পারিষদ সুধীর সাহার বর্তমান ৩২ নং ওয়ার্ড জেনারেল মহিলা হয়ে যাওয়ায়, তিনি আর ওই ওয়ার্ডে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেন না।
একইভাবে বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজের ২৮ নং ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে পারবেন না। কারণ সেটি তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি ওই ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে পারবেন না। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৯’এর লোকসভা ভোটের নিরিখে সল্টলেকের মধ্যে শাসক শিবিরের একমাত্র জেতা ওয়ার্ড ৩৮ নং’এ বর্তমান কাউন্সিলার নির্মল দত্ত নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেন না।
আসন সংরক্ষণ প্রসঙ্গে শাসকদলের এক নেতা বলেন, নয়া আসন সংরক্ষণের ফলে বর্তমান কাউন্সিলারদের অনেকেই আর নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকছে না। তবে এখনও পর্যন্ত সংরক্ষণের যা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জেতা কাউন্সিলাদের অধিকাংশরই অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকছে। বিশেষ করে বর্তমান পুরবোর্ডে থাকা তিনজন কাউন্সিলার যাঁরা তৃণমূলের চিহ্ন নিয়ে জিতে এসে, পরবর্তী সময়ে দল বদলেছেন। তাই বর্তমান কাউন্সিলারদের সকলেরই ফের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে বলে দলীয় সূত্রের দাবি। তবে কে, কোথায় দাঁড়াবে সেবিষয়ে দল তথা দলনেত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তাই এবিষয়ে এখনও বিশেষ কেউ মুখ খুলতে চাননি।