রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন তিনি বলেন, এই শয়তানরা দেশের খেয়ে দেশের পরে দেশবিরোধী কথা বলছে। এরা বুদ্ধিজীবী নয়, পরজীবী। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচারের সময় তো তাদের পথে নামতে দেখা যায় না। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যা বলেন, মমতা আর রাহুল গান্ধী সেটাই বলেন। এ রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা ‘গরিবের রক্ত চুষে মানুষকে জ্ঞান দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি সম্প্রতি তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে তীব্র জলঘোলা হয়েছে, সেই মন্তব্য থেকে তিনি যে পিছু হটছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এদিন সভায় তিনি বলেন, আমি আবার বলছি, যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে দেশের ক্ষতি করবে, তাদের গুলি করে মারা হবে।
এ রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে বিজেপিকে কখনওই সন্তোষজনক মন্তব্য করতে দেখা যায় না। সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিরোধিতার প্রেক্ষাপটে বিজেপির সঙ্গে বুদ্ধিজীবীদের এই বৈরিতা নতুন মাত্রা পেয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যের বিশিষ্ট বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবীই এই দুই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তাই দিলীপবাবুর এই তোপ প্রত্যাশিত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের এখন গলা ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় নামিয়েছেন দিদি। এই বুদ্ধিজীবীরা আগে বামেদের সঙ্গে ছিল। তাদের এখন একটাও এমপি নেই। ওরা যাদের সঙ্গে থাকবে, তাদের অবস্থা বামেদের মতো হবে। দোকান খোলার লোক থাকবে না। যেখানে বুদ্ধিজীবী, সেখানে গন্ডগোল বলে মন্তব্য করেন দিলীপ। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়—সভায় ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবার বিকেলে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে এই অভিনন্দন যাত্রা ড্রেনেজ ক্যানেল রোড, মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোড, নেতাজি সুভাষ রোড এবং জিটি রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে আসে। শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্র দিয়ে ব্যস্ত সময়ে বড় মিছিল হওয়ায় যান চলাচল ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ে। ময়দানের সংলগ্ন সব রাস্তায় যানজটের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে বিজেপির একাধিক কর্মসূচি পুলিস করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তবে এদিনের কর্মসূচিতে কোথাও প্রশাসনের তরফে কোনও বাধা চোখে পড়েনি।