কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্যে এনআরসি হবে না। সিএএ প্রত্যাহার করতে হবে। এইসব দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী পথে নেমেছেন। জেলায় জেলায় পদযাত্রা করছেন। কলকাতায় আজ নিয়ে টানা আটদিন তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছে। এই আন্দোলনকে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের মহিলা শাখা রাজ্যের ১৬টি জেলাতে ইতিমধ্যে সিএএ নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর কাজ শুরু করেছে। সেই পটভূমিতে দল ও তার শাখা সংগঠনের সামনের সারির কর্মীদের প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুসারে রাজ্যের ৪২টি লোকসভায় প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। দমদমের শিবির হবে মল রোডের একটি প্রেক্ষাগৃহে।
লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দলের জনসংযোগ বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন। ইতিমধ্যে পেশাদার ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক’কে নিয়োগ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’র মডেলে ভোটারদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কর্মসূচি। এরই প্রেক্ষিতে, সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে এনআরসি-সিএএ’র মতো বিষয় বোঝানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তৃণমূল। দলনেত্রীর নির্দেশ, মানুষের বাড়ির উঠোনে গিয়ে বসতে হবে। সে কাজ ‘দিদিকে বলো’র মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। এবার তাতেই যুক্ত হচ্ছে সিএএ বিরোধী প্রচার। কেন সিএএ বা এনআরসি সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর, তা বুঝিয়ে বলতে জনসংযোগে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। সেইক্ষেত্রে দলের বার্তা নিয়ে যারা প্রচারে নামবেন, তাঁদের পাঠ দেওয়াটাও জরুরি বলে মনে করে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি এলাকায় ছোট ছোট সভায় বক্তাদের ভাষণের বিষয়ে তালিম দেওয়ার উদ্দেশ্যে সৌগত রায়ের মতো পোড়খাওয়া নেতার পাশাপশি ব্রাত্যর মতো অভিজ্ঞ প্রশিক্ষককে কাজে লাগাতে চলেছে তৃণমূল।
দলের এক জেলা নেতার মতে, সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠন নাগরিকত্ব বিতর্কে যেসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তার মোকাবিলার কৌশল থেকে শুরু করে পাল্টা যুক্তি কী হবে, তা নিয়েই পাঠ দিতে দমদমের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রের বাছাই করা প্রতিনিধিকে নিয়ে শিবির হবে। তাঁরাই নিজেদের এলাকায় ফিরে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। সেই উদ্দেশ্যে, বিধানসভা পিছু দলের ১৫ জন এবং ছাত্র, যুব ও মহিলা শাখার পাঁচজন করে এই শিবিরে অংশ নেবেন।