রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, এদিন পুরসভার খসড়া সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এনিয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ জানানো যাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, আইন সবার জন্যেই এক। তাই আমি দলের সভাপতি হয়েও পুরসভার সংরক্ষণের আওতায় আছি। দলের সকল কাউন্সিলার দলের জন্যে এবং দলের নির্দেশে প্রার্থী হয়েছিলেন। এখানে কোনও ব্যক্তিগত বিষয় নেই। দল চাইলে সংরক্ষণের আওতায় পড়ে যাওয়া কাউকে প্রার্থী করতে পারে আবার সংরক্ষণ না থাকলেও কাউকে প্রার্থী না করতে পারে। ফলে এনিয়ে ভাবা অবান্তর। বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা হুগলি জেলা নেতা স্বপন পাল বলেন, অনেক জায়গাতেই সংরক্ষণের আইন মানা হয়নি বলে আমাদের মনে হয়েছে। এরমধ্যে ডানকুনির ক্ষেত্রে খুব স্পষ্টভাবে বিষয়টি ধরা পড়েছে। আমরা আইনি পদ্ধতিতেই এনিয়ে পদক্ষেপ করব।
সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশের আগে থেকেই শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের আসনগুলি সংরক্ষিত হওয়ার উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। এদিন তালিকা প্রকাশিত হতেই সেই আশঙ্কাই বাস্তব হয়ে ধরা দেয়। তৃণমূলের দু’জন পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকায় পড়েছে। এরমধ্যে একজন দলের জেলা সভাপতি দিলীপবাবু অন্যজন বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অরিন্দম গুঁইন। দলের দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান এই সংরক্ষণের আওতায় পড়েছেন।
ভদ্রেশ্বর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ গোস্বামী ও ডানকুনি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ওই তালিকায় আছেন। যদিও দেবাশিসবাবুর ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকায় পড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের দাবি, এখানে থার্ড পয়েন্ট রোস্টার ঠিকমতো মানা হয়নি। শুধু চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান নয়, দলের একাধিক চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য সংরক্ষণের আওতায় পড়েছেন। জেলা সদর চুঁচুড়ার চারজন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (সিআইসি) সদস্যের মধ্যে তিনজনের ওয়ার্ডই সংরক্ষণের আওতায় পড়েছেন। স্বাস্থ্য, পূর্ত ও জল বিভাগের দাপুটে সদস্যদের সংরক্ষণের আওতায় পড়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সিআইসি শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায়, রিষড়ার পূর্ত বিভাগের সিআইসি চন্দ্রমণি সিং, শ্রীরামপুরে পূর্ত বিভাগের সিআইসি উত্তম রায় সংরক্ষণের আওতায় পড়েছেন। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা বাঁশবেড়িয়া পুরসভার কাউন্সিলার শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নামও সংরক্ষণের তালিকায় এসেছে। দাপুটে নেতাদের সংরক্ষণের আওতায় আসা নিয়ে ডামাডোল বেশি শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরে। কারণ সেখানে টিকিটের দাবিদারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে না পারলে অন্যত্র প্রার্থীপদ পাওয়া কঠিন।