পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের লালগোলার বিভিন্ন জায়গায় হেরোইনের মতো নিষিদ্ধ মাদক তৈরি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এই জেলা ও নদীয়ার একাধিক ব্যক্তি হেরোইনের কারবারে জড়িত রয়েছে বলেও খবর রয়েছে এসটিএফের কাছে। এখান থেকেই মাদক যাচ্ছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায়। এসটিএফের অফিসারদের কাছে খবর আসে, হাসিবুর নামে এক ব্যক্তি মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় মাদক নিয়ে আসছে। পূর্ব যাদবপুর এলাকায় একটি আবাসনের সামনে তার হাতবদল হবে। সেইমতো বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে পৌঁছে যায় এসটিএফের টিম। হাসিবুর পৌঁছনো মাত্রই তাকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে একটি মশলার প্যাকেট পাওয়া যায়। প্রথমে সে অফিসারদের বলার চেষ্টা করে, এর মধ্যে মশলা রয়েছে। সন্দেহের বশেই সিল করা প্যাকেটটি কাটা হয়। দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে বাদামি রঙের পাউডার। হাসিবুর অফিসারদের কাছে স্বীকার করে নেয়, এই গুঁড়ো আসলে ব্রাউন সুগার। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুটি প্যাকেট থেকে মেলে দু’ কেজি হেরোইন। এই মাদক সে মুর্শিদাবাদের এক মাদক কারবারির কাছ থেকে পেয়েছিল। উদ্ধার হওয়া মাদক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে উঠে আসছে, হাসিবুর মুর্শিদাবাদে নিয়মিত যাতায়াত করে। মূলত ক্যুরিয়ার হিসাবে সে কাজ করছে। তার মাধ্যমেই ওই জেলার বড় মাদক কারবারিরা কলকাতায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে মাদক পাঠাচ্ছে। এর আগে মাদক নিয়ে আসতে গিয়ে সে একবার ধরাও পড়ে। পরে জামিনে ছাড়া পায়। তারপর আবার এই কাজ শুরু করেছে। হাসিবুর জেরায় জানিয়েছে, মাদক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কৌশল বদল করা হয়েছে। আগে সাধারণ প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে হেরোইন বা মাদক নিয়ে যাওয়া হত। এখন তা ভরা হচ্ছে মশলা বা চিপসের প্যাকেটে। মেশিনে তা সিল করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে সহজে ধরা না যায়। এমনকী এভাবে প্যাকিং করে ক্যুরিয়ারে মাল বুকিং করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর তা পৌঁছে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এই চক্রে আর কারা কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।