গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট১ ব্লকের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে রোজ এই রাজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৩০০ লরি ফল, শুকনো মাছ, পেঁয়াজ, হলুদ, আদা, রসুন, পাথর নিয়ে বাংলাদেশে যায়। প্রত্যেক লরি থেকেই ন্যূনতম ৮০০ থেকে ১,৬৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এলাকায় এটা ‘গুন্ডা ট্যাক্স’ নামেই পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দা, লরি চালক ও মালিকদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতা হিসেবে পরিচিত বারিক বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই তোলা আদায় চলছে। আগে বড় লরি থেকে সামগ্রী নামিয়ে ছোট লরিতে তোলার জন্য প্রায় হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। পথ সুগম হওয়ায় এখন ট্রাক সোজা চলে যায়, ফলে কিছু লোকের রুজিতে টান পড়ে। গোড়ায় এই কর্মহীন শ্রমিকদের কিছু পাইয়ে দিতে ট্রাক পিছু টাকা তোলার অস্থায়ী প্রথা শুরু হয়। বর্তমানে সিংহভাগ শ্রমিক অন্যত্র কাজ করলেও প্রথাটি চলেই আসছে।
সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি বলেন, দিনে আদায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা। ফেডারেশন অব ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, জোর করে লরি থেকে ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। না দিতে চাইলে চালকদের মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বহুবার পুলিস ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
বারিক বিশ্বাস বলেন, রাজনৈতিকভাবে বসিরহাট১ ব্লক আমাকে দেখতে হয়। আমার বউদি তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য। আমি নানান সামাজিক কাজকর্মের মাধ্যমে মানুষকে সাহায্য করি। কেউ চক্রান্ত করে এইসব রটাচ্ছে। ঘোজাডাঙায় টাকা তোলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার নামে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলী সিন্ডিকেট ঘোজাডাঙায় লুটতরাজ চালাচ্ছে। বিজেপির বসিরহাট জেলা সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, ঘোজাডাঙায় তোলাবাজির কোটি কোটি টাকা কলকাতাতেও পৌঁছচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, টাকা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ওই নামে একজন বসিরহাটে রয়েছে বলে জানি। ওর বিরুদ্ধে থানায় অনেক অভিযোগ আছে বলে শুনেছি। ওকে আমি কোনও দিন দেখিনি। ওর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এইভাবে রসিদ ছাপিয়ে টাকা তোলা হয় বলে আমার কিছু জানা নেই। কোনওভাবেই এসব বরদাস্ত করা হবে না। পুলিসকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলব।