রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নানা ইস্যুতে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। যার ফলস্বরূপ তাঁকে প্রায় এক ঘরে করে দেওয়ার প্রয়াস করেছে সরকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কীভাবে তাঁকে এড়ানো যায়, তার কৌশল যেমন তৈরি করা হয়, তেমনই বিধি পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি রাজ্যপালের ক্ষমতাও খর্ব করে দেওয়া হয়। যাদবপুরে প্রবল বিক্ষোভে সমাবর্তনে যোগ দিতে পারেননি রাজ্যপাল। তবে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পরিবেশ এবং আবহ বাকিদের তুলনায় একেবারেই আলাদা। ফলে এদিনের অনুষ্ঠানে বেশ ফুরফুর মেজাজেই দেখা গেল ধনকারকে। নিজের বক্তব্য রাখার সময় তা আরও বেশি স্পষ্ট হল। শুরুতেই তিনি বলে ওঠেন, এটি আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দ এবং উপভোগ্য মুহূর্ত যা আমি কখনও ভুলতে পারব না।
কীভাবে এই প্রতিষ্ঠান বাকিদের পথ দেখাতে পারে, সেই কথা উল্লেখ করে সেন্ট জেভিয়ার্সকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বলতে দেওয়া হলে, আমি থামব না। যা দেখতে পাচ্ছি, তাতে এই প্রতিষ্ঠানের আদব কায়দা বাকিদের অনুসরণ করা উচিত। অন্যদের ক্ষেত্রে সেন্ট জেভিয়ার্স দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়ারা যে নিজেদের দক্ষতা নির্দ্বিধায় দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন, তার কারণ এখানে কোনও বাধা নেই। উল্লেখ্য, যাদবপুরে যেভাবে ছাত্র বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হয়েছে ধনকারকে, তা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিল তাঁর কাছে। সেন্ট জেভিয়ার্সের পরিবেশ এবং পরিস্থিতি দেখে অবাক হয়েই এমন মন্তব্য করেছেন বলে মত শিক্ষামহলের।
এই অনুষ্ঠানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেন্ট জেভিয়ার্সের সর্বোচ্চ সম্মানে (নিহিল আল্ট্রা) ভূষিত করা হয়। সেই রকম একটা মুহূর্তে বর্তমান উপাচার্যের অনুপস্থিতিকে টেনে আনেন রাজ্যপাল। কিছুটা হতাশার সুরেই বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যকে যেখানে সম্মান জানানো হচ্ছে, সেখানে বর্তমান উপাচার্য থাকলে ভালোই হত। আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। খোঁচা এবং হতাশার সুর ব্যক্ত করেও সোনালীদেবীর প্রশংসা শোনা গেল তাঁর মুখে। আচার্যের মতে, উপাচার্য একজন উদার মনের মহিলা। তাঁর চিন্তাভাবনা বেশ ইতিবাচক।
বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্য ইত্যাদি প্রসঙ্গ ছাড়াও পড়ুয়াদের প্রতিও বার্তা দেন ধনকার। সেন্ট জেভিয়ার্সের যা নাম, তা যাতে কালিমালিপ্ত না হয়, তা দেখার দায়িত্ব পড়ুয়াদেরই। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের উপর অভিভাবকরা যাতে অযথা চাপ না দেন, সেই আর্জিও জানিয়েছেন ধনকার। মার্কশিট একটা ধাপ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাবা-মায়েরা যেন এর জন্য বাড়তি চাপ না দেন পড়ুয়াদের উপর।
পাশাপাশি, স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষাচিন্তা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পড়ুয়াদের তিনি উপদেশ দিয়ে বলেন, কোনও বিষয়ে যদি তারা বিরোধিতা করে, তাহলে তা যেন তারা জোরের সঙ্গে এবং অন্তরের ভিতর থেকে করে।