কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চুঁচুড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আর প্রসেনজিৎবাবু বলেন, এর আগেও আমার স্ত্রী বিহার, দিল্লি, মুর্শিদাবাদ সহ নানা জায়গায় অ্যাপ কোম্পানির ডাকে অনুষ্ঠানে গিয়েছে। কখনও আমি নিজে নিয়ে গিয়েছি, কখনও ও একাই গিয়েছে। এবার সময় না মেলায় ও একাই গিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি যাওয়ার পর থেকেও ওর ফোন অফ ছিল। গত ৩ জানুয়ারি আমাকে ফোন করে বলে ও নয়াদিল্লিতে আছে। আমি ফোন অফ কেন ছিল জানতে চাওয়ায় বলে নেটওয়ার্ক ছিল না। এরপর ফের ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। ওর সঙ্গে যে ছেলেটি গিয়েছিল তাঁকে আমি চিনি না। কিন্তু তার টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে যাবতীয় ছবি, ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। ফলে গোটা বিষয়টিই সন্দেহজনক। ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে আমি কী করব বুঝতে পারছি না। ভিডিওর নেশা ওকে কোনও বিপদে ঠেলে দিল কি না সেটাই ভাবছি।
ওই গৃহবধূর পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাতবছর আগে সুকান্তনগরের প্রতিমার সঙ্গে ভগবতীডাঙার প্রসেনজিতের বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রীর টিকটক ভিডিও করার নেশাকে প্রশ্রয় দিতেই জমিজায়গা কেনাবেচার কাজে যুক্ত প্রসেনজিৎ। সম্প্রতি প্রতিমার একাধিক ভিডিও নেটিজেন মহলে জনপ্রিয় হয়। প্রায় ৫ লক্ষ দর্শক তৈরি হয়েছিল। এর জেরে অ্যাপ কোম্পানির তরফে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার যেমন হচ্ছিল তেমনি বিভিন্ন রাজ্যে শো করতেও ডাকা হচ্ছিল ও সুন্দরী বধূকে।
একদিকে জনপ্রিয়তা অন্যদিকে টাকা আসায় প্রসেনজিৎ মণ্ডল স্ত্রীকে নতুন দু’টি ফোনও কিনে দিয়েছিলেন। দিল্লি, বিহারের মতো জায়গায় শো করতে নিজে নিয়েও যেতেন। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর স্ত্রী জানায় তাঁকে দিল্লি যেতে হবে। প্রসেনজিৎ যেতে না পারায় ভিকি নামে এক টিকটক অ্যাকাউন্ট বন্ধু তাঁকে কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যায়। এরপরই ওই গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর স্বামীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফের ৩ জানুয়ারি ওই গৃহবধূ নিজেই স্বামীকে ফোন করেন। কিন্তু তার কথাবার্তা যেমন অসংলগ্ন ছিল তেমনি সেই সময়েই ভিকি নামে তাঁর সঙ্গী যুবকের অ্যাকাউন্ট থেকে যাবতীয় ছবি ও ভিডিও মুছে দেওয়া হয়। এতে সন্দেহ আরও বাড়ে। তারপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিভ্রান্ত স্বামী। যিনি সোমবারই হতাশার সুরে বলছেন, টিকটকে কী সর্বনাশ হল কে জানে!