বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাংলাদেশে ইয়াবার চাহিদা বাড়ছে। এক একটি নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট বাংলাদেশে বিপুল দামে বিক্রি হচ্ছে। সেই কারণে এর চোরাকারবারও বেড়েছে। সীমান্তের ওপারের পুলিস নিষিদ্ধ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় বারবার পাচারের রুট বদল করা হচ্ছে। মায়ানমার থেকে আসা এই ট্যাবলেট আগে ত্রিপুরা হয়ে সোজা বাংলাদেশে চলে যেত। কিন্তু এই রুটে কড়াকড়ি বৃদ্ধি পাওয়ায় মায়ানমার থেকে এই ট্যাবলেট প্রথমে মিজোরাম, মণিপুরে আসছে। এরপর সড়ক বা ট্রেনপথে তা কলকাতায় এনে পাচার করা হচ্ছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে এর মজুতভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছে। এখানকার একাধিক ব্যক্তি এই কারবারে জড়িত হয়ে পড়েছে। পাচারে মূলত ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়া সীমান্ত।
কয়েকদিন আগে এসটিএফের কাছে খবর আসে, আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি কলকাতায় এই মাদকের কারবার চালাচ্ছে। বাংলাদেশে ইয়াবা যাচ্ছে তার মাধ্যমে। এরপরই তার খোঁজ শুরু হয়। জানা যায়, পঞ্চসায়র এলাকায় তার ডেরা রয়েছে। এরপরই এসটিএফের একটি টিম রবিবার বিকেলে সেখানে হানা দেয়। উদ্ধার হয় ১ লক্ষ ১০ হাজার মাদক ট্যাবলেট। যার দাম দু কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। জেরায় সে জানিয়েছে, অনেকদিন ধরেই এই কারবার চালাচ্ছে। তার সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের মাদক কারবারে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ধরাপাকড়ের কারণে অনলাইনে অর্ডার বুক করা হচ্ছে। এরপর তা চলে আসছে কলকাতায়। কেরিয়ারদের হাতেই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে টাকা। বাংলাদেশের কারবারিদের কাছ থেকে ডলারে পেমেন্ট নেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় ক্যুরিয়র সংস্থার মাধ্যমেও মাদক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এবার উদ্ধার হওয়া মাদকও বাংলাদেশে পাঠানো হতো। সেজন্য কয়েকদিন আগেই তা এখানে নিয়ে আসা হয়। ধৃতের কাছ থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ মাদক কারবারে জড়িত কয়েকজনের নাম হাতে এসেছে এসটিএফের অফিসারদের। তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে।