কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে আমডাঙার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সন্তোষপুর মোড়, কাছারি মোড়, সোনাডাঙা মোড়, কামদেবপুর মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। রাস্তার উপর টায়ার ও গাছের ডাল ফেলে আগুন লাগানো হয়। কামদেবপুর মোড়ে জাতীয় সড়কের উপর সাতটি ইটের উনুন তৈরি করে খিচুড়ি রান্না করা হয়। এদিন জাতীয় সড়কের উপর পাত পেড়ে আন্দোলনকারীরা খিচুড়ি খায়। এদিন বিকেলে রফিপুরে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরফে সভার আয়োজন করা হয়। কামদেবপুর থেকে সন্তোষপুর পর্যন্ত মিছিল করা হয়। আমডাঙায় বিক্ষোভের ফলে এদিনও বিকেল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ সিংহভাগ জায়গায় তুলে নেন অবরোধকারীরা। ফলে বিকেলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়।
এদিন বিকেলে বারাসতের চাঁপাডালি মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। এরপর মিছিল করে কাজিপাড়ার দিকে যাওয়ার সময় টাকি রোডের ধারে বিজেপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড অফিস ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরাও পাল্টা চাঁপাডালি মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এদিন সকালে মধ্যমগ্রামের আব্দালপুর এলাকার বাসিন্দারা মিছিল করে যশোর রোড অবরোধ করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ায়। এরপর হুমাইপুরের বাসিন্দারাও মিছিল করে দ্বিতীয় দফায় যশোর রোড প্রায় আধঘন্টা অবরোধ করে। দেগঙ্গাতেও এদিন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। দেগঙ্গার হাবড়া পৃথিবা রোডের জীবনপুর বাজার, সন্দেপুকুর, বরুণির মোড়ে অবরোধ করা হয়। রাস্তার উপর গাছ ফেলার পাশাপাশি টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা।
এদিন চাকলা থেকে বেড়াচাঁপা মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। এদিন দেগঙ্গার চন্দ্রকেতুগড় সহিদুল্লা কলেজ ময়দানে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সভা করা হয়। হাদিপুর থেকে সমাবেশে আসার পথে বিক্ষোভকারীরা টাকি রোডের চৌমাথা দফায় দফায় অবরোধ করে। অন্যদিকে, এদিন সকালে কংগ্রেস ভ্যাবলা স্টেশনে কয়েক মিনিট অবরোধ করায় ট্রেন চলাচল থমকে যায়। এদিন দেগঙ্গায় শাসক দলের তরফে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। এরপর পথসভায় বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকালে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। ওই মিছিলে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সকালে বসিরহাট পুরসভার বিভিন্ন জায়গায় মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিজেপির বারাসত জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, সারা রাজ্যের মতোই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় শাসক দলের উস্কানিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। শান্ত বারাসত শহরকেও অশান্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরির পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। আমরা সকলকে শান্ত থাকার আবেদন করছি। সকলকে বোঝাচ্ছি, নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে কারোর নাগরিকত্ব যাবে না। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি। আমরা সকলকে বলেছি, গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। রাজ্যে কোনওভাবেই ক্যাব বা এনআরসি চালু হবেনা। বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তা অবরোধ করা হলেও বিকেলের পর জেলার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।