পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ঊর্মিলাদেবী খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, বৃদ্ধাকে অত্যন্ত নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছিল। একাধিক আঘাত ছিল তাঁর শরীরে। ছুরি দিয়েই যে ঊর্মিলাদেবীকে আঘাত করা হয়, তা প্রথমেই জানতে পারেন অফিসাররা। ধৃতদের জেরা করে তাঁরা জেনেছেন, কিছুদিন আগে রান্নাঘরে ব্যবহারের জন্য নতুন ছুরি কিনে আনে ডিম্পল। তাতে ছোটবড় মিলিয়ে ছ’টি ছুরি ছিল। অন্যগুলি অল্পস্বল্প ব্যবহার হলেও সবচেয়ে বড়টি তাও হয়নি। ফ্ল্যাট চেয়ে না পাওয়ার পরই ডিম্পল-গুড়িয়া যখন ঊর্মিলাদেবীকে খুনের পরিকল্পনা করে, তখনই ঠিক হয় কীভাবে তা করা হবে। ঠিক হয়, আনাজ কাটার ছুরি দিয়ে তাঁকে খুন করা হবে। সেই কারণে সবক’টি ছুরিকে কয়েকদিন আগে ভালো করে শান দিয়ে আনে গুড়িয়া। কিন্তু কোন ছুরি ব্যবহার করা হবে, তা ঠিক হয়নি। ঘটনার দিন ছুরির বাক্স নিয়ে আসে গুড়িয়া। তার মধ্যে থেকে সবচাইতে বড় ছুরিটি বেছে নেয় সে। এর কারণ হিসেবে উর্মিলা দেবীর নাতনি পুলিসকে জানিয়েছে, ঠাকুমার শরীর-স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো ছিল। তাই ছোট ছুরি দিয়ে যে তাঁকে ঠিকমতো কোপানো যাবে না, তা তারা জানত। পাশাপাশি গলা কাটার ক্ষেত্রে সমস্যা হতো এবং আঘাতও খুব গভীর হতো না। সেই কারণেই বড় ছুরি সে নিজে হাতে বেছে দেয় সৌরভ পুরীকে। শান দেওয়া থাকায় গলা কাটা সহজ হয়। শুধু তাই নয়, ঊর্মিলাদেবীর গলা কাটার সময় নাতনি তাঁকে চেপে ধরেছিল। যাতে কোনও কারণে আচ্ছন্নভাব কেটে গেলে তিনি নড়াচড়া করতে না পারেন। খুনের সময় নাতনিও ঠাকুমাকে কয়েকটি কোপ মেরেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
যে ঘরে উর্মিলাদেবীকে খুন করা হয় সেখান থেকে দুটি ফাঁকা ট্রলি ব্যাগ মিলেছে। তা কে নিয়ে এল স্পষ্ট নয়। অফিসাররা মনে করছেন, খুনের পর দেহ এই ট্রলিতে ভরে লোপাটের কোনও পরিকল্পনা করে থাকতে পারে অভিযুক্তরা। যে কারণে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ আলাদা করতে গিয়েছিল ধৃতরা। দুটি ট্রলি ব্যাগের মধ্যে একটিতে মাথা , হাত পা ভরা হত অন্যটিতে শরীরের বাকী অংশ রাখা হত ধারণা করা হচ্ছে। দেরি হয়ে যাওয়ায় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে তা হয়ে ওঠেনি বলে অনুমান পুলিসের। এই বিষয়টি স্পষ্ট করতেই তিন অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে মুখোমুখি জেরা করতে চান অফিসাররা। আর যদি এই পরিকল্পনা থেকে থাকে তাহলে কোথায় দেহ ফেলা হত তা তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে।