কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শনিবার রাতে জগদ্দলের আর্য সমাজ মোড় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাংসদ অর্জুন সিং বাড়ি ফিরছিলেন। বিজেপির দাবি, সেই সময় আর্য সমাজ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে। সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ইট ছোঁড়া হয়। সেই ইটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়ির সামনের কাচ। একটি বোমাও ফাটানো হয়। দৌড়তে দৌড়তে তৃণমূল কর্মী গণেশ সিং রাস্তায় পড়ে যান। গাড়ি থামিয়ে সাংসদ তাঁর চোখে মুখে জল দেন। নিজের গাড়িতেই সাংসদ ওই তৃণমূল কর্মীকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন।
উল্লেখ্য, তিন দিন আগেও গণেশ বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত ১৩ ডিসেম্বর কাঁকিনাড়া বাজারে অনুষ্ঠিত সভায় তৃণমূলে যোগ দেন। দলীয় কর্মীর জখমের ঘটনা শুনে রাতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জড়ো হন। তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। উত্তেজনা দেখা দেয় এলাকায়। পুলিস অবশ্য উত্তেজনা সামাল দেয়। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, গণেশ কেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে, তার কৈফিয়ত চেয়ে অর্জুন তাঁকে মেরেছে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তিনি এখন আর জি কর হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে লড়ছে।
ভাটপাড়া ফের কেন অশান্ত হয়ে উঠছে? সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা এনেছে তৃণমূল। এই মুহূর্তে তৃণমূলের পক্ষে ১৮ জন কাউন্সিলার। অনাস্থার ভোটাভুটিতে বিজেপির হাতছাড়া হতে পারে পুরসভা। বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও দলে দলে তৃণমূলে ভিড়ছেন। উল্টোদিকে, পুরসভা দখলে মরিয়া শাসক দল। অর্জুন সিংয়ের গড় ভাঙতে চাইছে তারা। দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাটপাড়া ফের উত্তপ্ত। তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমাদের কাউন্সিলারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছেন অর্জুন। যাতে ওদের পক্ষে ফের যায়। তাই গণেশের মতো আমাদের দলের কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়েছে।
অর্জুনের পাল্টা বক্তব্য, আমার গাড়ির উপর হামলা চালানো তৃণমূলের পরিকল্পিত ঘটনা। বোমাবাজি, ইট ছোঁড়া সবই পরিকল্পিত। গণেশ মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সে দৌড়তে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। ওকে আমিই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।
এদিকে, শনিবার রাতে নৈহাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ নম্বর বিজয় নগরে বিজেপির একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। ১৬৭ নম্বর বুথ সভাপতি রবি রায়ের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির বারাকপুর জেলা কমিটির সহ সভাপতি বিপ্লব সরকার বলেন, তৃণমূলীরাই এই হামলা চালিয়েছে। প্রথমে আমাদের দলের বুথ সভাপতির বাড়ি আক্রমণ ও পরে পার্টি অফিস ভাঙচুর চালানো হয়। এই পার্টি অফিসটি কোনও দখলদারি নয়, নিজেদের দলীয় টাকায় গড়ে তোলা কার্যালয়। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থবাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিজেপির ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।