গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই তরুণী পুলিসকে জানিয়েছেন, ১৩ ডিসেম্বর কড়েয়া থানা এলাকার ব্রাইট স্টিটে এক বন্ধুর বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেখানে তাঁকেও নিমন্ত্রণ করা হয়। শুক্রবারের সেই পার্টিতে তিনি যান। বেশ রাত অবধিই ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত তিন যুবকও ছিল। অভিযোগ, তাঁকে পার্টিতে একটি নরম পানীয় দেওয়া হয়। তা খাওয়ার পরই তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। ওই সময় তাঁর পাশে ছিল তিন যুবক। তারাও ওই পানীয় পান করছিল। তরুণীর দাবি, তাতে মাদক মেশানো থাকাতেই তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁর জ্ঞান ফেরে। তাঁর পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। তা দেখেই তিনি বুঝতে পারেন, যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি সোজা তালতলার বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকজনকে ঘটনার কথা জানান। পরের দিন সকালে তিনি তালতলা থানায় যান। সেখানে গিয়ে তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। ঘটনা কড়েয়া থানা এলাকায় হলেও, তরুণীর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রুজু করে তালতলা থানা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পুলিস কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগ এলে থানা এলাকা যেন দেখা না হয়। চটজলদি এফআইআর করে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমনকী মহিলাদের কোনও অভিযোগ এলে, সময় নষ্ট না করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। সেই নির্দেশ মাথায় রেখেই ব্যবস্থা নিতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি থানা। তরুণীর কাছ থেকে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। তিনি তাদের পরিচয় জানিয়ে দেন। জানান, ওই যুবকদের তিনি চিনতেন। তারাই যৌন হেনস্তা করেছে। তাদের মধ্যে নাভেদ আলম নামে এক যুবকের বাড়ি পার্ক স্ট্রিট এলাকায় বলে জানতে পারে পুলিস। শনিবার রাতে সেখানে হানা দিয়ে নাভেদকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ করছে পুলিস।