বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি আসবাবপত্র দোকানের কর্মী রীতেশবাবু শনিবার রাতে পাড়ার একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন। সেই সময় দোকানের উল্টোদিকের বাড়ির বাসিন্দা দীপক বিশ্বাস জানালা দিয়ে বলে, বাড়ির সামনে চিৎকার-চেঁচামেচি না করতে। কোনও গল্পগুজব বাড়ির সামনে চলবে না। বাড়ির সামনে দিয়ে তাঁরা যেন সরে যান, এই বলে রীতিমতো হুমকির সুরে দীপক চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। এই নিয়ে রীতেশবাবু এবং চায়ের দোকানের অন্যদের সঙ্গে দীপক বিশ্বাসের তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। দীপক বিশ্বাসের সঙ্গ দিয়ে চিৎকার করতে করতে বাইরে বেরিয়ে আসে তার ভাইপো-ভাইঝি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ওই তিনজন। দু’পক্ষের এই চিৎকার-চেঁচামেচিতে এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। সেই সময় দীপক নিজের ঘর থেকে সব্জি কাটার একটি বড় ছুরি নিয়ে রীতেশবাবুকে কুপিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তি লুটিয়ে পড়েন। এরপরই এলাকার বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে ওই তিনজনকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দু’জন পালানোর চেষ্টা করলেও তারা ধরে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভারী পণ্যবাহী গাড়ির চালক দীপক বিশ্বাস এলাকায় রগচটা বলেই পরিচিত। আগেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মারপিট করতে গিয়ে বঁটিতে তার আঙুল কেটে গিয়েছিল। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সেই রাগ ওই তিনজনের উপর তো বটেই, বিশ্বাস পরিবারের বাড়ির উপরেও পড়ে। এলাকার লোকজন ইট ছুঁড়ে ওই বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙতে থাকে। ঘরের ভিতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহত রীতেশবাবুকে পুলিস উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। অন্যদিকে, তিনজনকে পুলিস গাড়িতে তোলার সময়েও এলাকার বাসিন্দাদের রাগ কমেনি। তখনও অভিযুক্তদের চড়-থাপড় মারতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিস কোনওরকম তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।