গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দ্বিতীয়ত, প্রথম পর্বে ট্রেন চালানোর জন্য ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’ (সিআরএস) যে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল, তার বৈধতা গত ৩০ নভেম্বর শেষ হয়। এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল মেট্রো। তারপরই আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অনুমোদনের বৈধতা বৃদ্ধি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী চলতি মাসে নয়া রুটে ট্রেন চলাচলের সূচনা হবে না? মেট্রোর কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, কবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের সূচনা হবে, তা ঠিক করবে রেল মন্ত্রকই। চলতি মাসেও নয়া রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। পরিষেবার জন্য প্রস্তুতি শেষ। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ভাড়ার তালিকাও।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, প্রথম পর্বে ৪.৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে ট্রেন চলাচল করবে। এই পর্বে মোট ছ’টি স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। ট্রেন চালানোর জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের সূচনা হলে যাতে যাত্রীরা সুষ্ঠু পরিষেবা পান, সেজন্য দফায় দফায় ট্রায়াল রান চালানো হয়েছে। প্রথমবার ট্রায়ালে কিছু সমস্যা ধরা পড়ে। পরে সেগুলিকে কাটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, প্রথম ট্রায়ালে ট্রেনের দরজা ও প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরের মধ্যে সমন্বয় রেখে সব সময়ে ট্রেন দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। এই সমস্যা কাটিয়ে তোলা গিয়েছে। আসলে গোটা সিস্টেমে কোথাও কোনও গলদ ছিল না। নির্দিষ্ট জায়গার ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আগে-পরে ট্রেন দাঁড় করানো হলে ট্রেনের দরজা এবং স্ক্রিন ডোরের সমন্বয় রক্ষা করা সম্ভব হয়। তা না হলেই গরমিল হবে। বর্তমান মেট্রোয় যেহেতু এই ব্যবস্থা নেই, তাই শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।
ওই কর্তা আরও বলেন, পরিষেবার জন্য পর্যাপ্ত রেক থেকে শুরু করে সমস্ত পরিকাঠামোই বর্তমানে পুরোপুরি তৈরি। বিষয়টি রেল মন্ত্রককেও জানানো হয়েছে। এবার পরিষেবা সূচনার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবে তারাই। প্রথম দিকে পাঁচটি রেককে পরিষেবায় ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মেট্রো পথে শুরুতে ২০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে আগামী দিনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে মেট্রো সূত্রে।