কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখ। পবন ছুই নামে পাঞ্জাবের ওই বাসিন্দা কয়েকদিন আগে কলকাতায় আসেন। হাওড়ার শৈল মুখার্জি লেনে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য তিনি ডালহৌসি থেকে একটি মিনিবাসে ওঠেন। বাসটিতে যথেষ্ট ভিড় ছিল। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগে ছিল ৪০০০ হাজার কানাডিয়ান ডলার ও ১০০ মার্কিন ডলার। হঠাৎই তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায় দুই মহিলা। তিনি তাদের বাসের যাত্রী ভেবেছিলেন। কিছু দূর যাওয়ার পর বাসটিতে আরও যাত্রী ওঠে। এই সুযোগে দুই কেপমার ওই যাত্রীর খুব কাছাকাছি চলে আসে। কিছুক্ষণের জন্য অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন ওই পুরুষ যাত্রী। এই সুযোগে তাঁর ব্যাগের চেন কেটে তাতে থাকা কানাডিয়ান ও মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পরই বাস থেকে নেমে যায় তারা। বাসটি কিছুটা খালি হওয়ার পর পবনবাবু খেয়াল করেন, তাঁর ব্যাগের চেন কাটা। তাতে থাকা ডলার ও অন্যান্য জিনিসপত্র নেই। এরপর তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
থানার পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও তদন্তে নামে। ডালহৌসি ও তার আশপাশের এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। যাতে ওই দুই মহিলা কোথায় যাত্রী সেজে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল, তা জানা যায়। এর সঙ্গে স্থানীয় সোর্স নেটওয়ার্কও কাজে লাগানো হয়। ফুটেজ দেখে দুই মহিলাকে চিহ্নিত করা হয়। তাদের ছবি সোর্সকে দেখানো হয়। তারা জানায়, এই দুই মহিলাই কেপমার। তারা গুজরাতের বাসিন্দা। খোঁজখবর চালিয়ে তাদের বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল, তারা অশোক মালি ও হংস প্রেম সোলাঙ্কি। জানা গিয়েছে, তারা গুজরাত থেকে এসে কেপমারি করত। তাদের একটি গ্যাং রয়েছে। এই দলে একাধিক মহিলা রয়েছে। মূল মাথা হল ধৃতরা। বেছে বেছে সুন্দরী মহিলাদের দলে নেওয়া হতো। মূলত ভিড় বাসই ছিল তাদের টার্গেট। পুরুষ যাত্রীদের ঘনিষ্ঠ হয়ে বা আলাপ জমিয়ে জিনিস হাতিয়ে নিত তারা। এই কায়দায় তারা একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে চক্রের বাকি সদস্যদের খুঁজছে পুলিস।