বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতা ছাত্রীর নাম রূপসা গুহ (১৬)। সে কল্যাণনগর বালিকা বিদ্যায়ের ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। তার বাবা দীপক গুহ পেশায় টোটো চালক। মা কাজের সূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। ঠাকুমা অনিমাদেবী নাতনির দেখাশোনা করতেন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপসাদের নিম্নবিত্ত পরিবার। ঠাকুমাই টাকা জোগাড় করে নাতনির মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করিয়েছিলেন। টেস্ট পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ রূপসাকে মাধ্যমিকে বসার অনুমতি দিয়েছিল। ঠাকুমাও চেয়েছিলেন পরীক্ষার আগে নাতনি একটু পড়াশোনা করুক। কিন্তু পড়াশোনার চেয়ে মোবাইলেই বেশি সময় কাটাত রূপসা। বৃহস্পতিবার সন্ধাতেও একই ঘটনা ঘটতে দেখেন ঠাকুমা।
বিষয়টি নজরে আসতেই ঠাকুমা তাকে বকাঝকা করেন। এ নিয়ে একপ্রস্থ ঝগড়াও হয় ঠাকুমা ও নাতনির মধ্যে। এরপর রাতের দিকে শৌচালয়ে গিয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস দেয় রূপসা। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতা ছাত্রীরা ঠাকুমা বলেন, সামনে পরীক্ষা নাতনির। কিন্তু পড়াশোনা বাদ দিয়ে মোবাইল ঘাঁটত বেশি। তাই ওকে বকেছিলাম। কিন্তু তার পরিণতি এমন হবে, বুঝতে পারিনি।
কল্যাণনগর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী রায় বলেন, টেস্ট পরীক্ষার পর সব ছাত্রীদেরই বলা হয়েছিল, এই ক’মাস মোবাইল থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখবে। রূপসাও মিষ্টি মুখে মেনে নিয়েছিল। রূপসার ঘটনা শোনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে মেয়েদের কাউন্সেলিং করব।