রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম পায়েল দত্ত (৪০)। তাঁর বাবা কমল দত্ত। তিনি পেশায় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের কর্মী ছিলেন। তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছেন গত আগস্ট মাসে। বাবার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর একমাত্র সন্তান ছিলেন পায়েল। তাঁর বিয়েও হয়েছিল বরানগরের এক যুবকের সঙ্গে। তবে বছর তিনেক আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন তিনি। আর শ্বশুরবাড়িতে যাননি। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনও তাঁর যোগাযোগও ছিল না।
শ্বশুরবাড়ি থেকে আসার পর বাবার সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পায়েল একসময় চারটি কুকুর পুষত। পরে দুটি কুকুর মারা যায়। বাকি দুটি কুকুর নিয়ে সময় কাটাতেন বেশি। পোষ্যদের জন্য নানান খাবার দাবার নিয়ে আসতেন। কোনও রোগ হলে চিকিৎসা করাতে নিজে নিয়ে যেতেন। এতে খরচাও হত অনেক। পোষ্যদের পিছনে খরচ নিয়ে বাবার সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা বাধত তাঁর। এমনকী বাবাকে মারধরও করতেন পায়েল। বেশ কিছুদিন আগে বাবা মেয়ের বিরুদ্ধে বরানগর থানায় অভিযোগও করেছিলেন। পরে অবশ্য মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ কমলবাবু প্রত্যাহার করেন।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার মৃত্যুর পর বাড়িতে একাই থাকতেন পায়েল। মাঝেমধ্যে এক বন্ধু তাঁর বাড়িতে আনাগোনা করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বন্ধু এসে দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। ডাকাডাকির পরেও পায়েল সাড়া না দেওয়ায় পাড়া প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিস ও দমকলকে। দমকলের কর্মীরা এসে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন। পুলিস বাড়িতে ঢুকে দেখে, গলায় দড়ি নিয়ে ঝুলছে মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাড়ির ভিতর থেকে একটি মৃত ও একটি জীবিত কুকুর উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে কুকুরের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। প্রতিবেশীদের সন্দেহ, পায়েল কুকুর খুব ভালোবাসতেন। পোষা কুকুরের মৃত্যুর শোকেই হয়তো অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। বরানগর থানার পুলিস জানিয়েছে, এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এটি আত্মহত্যার ঘটনা। কী কারণে আত্মঘাতী, তার তদন্ত চলছে।