গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে। পুলিস গিয়েও প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়। পরে অবশ্য অবরোধ ওঠে। হাওড়ার কোনা ও কাজিপাড়াতেও বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ হয়। তবে পুলিস গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অবরোধ তুলে দিলে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হয়েছে। তবে এদিন জাতীয় সড়কে হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। যাত্রীদের মধ্য চরম আতঙ্ক শুরু হয়। বাগনানে কিছুক্ষণ ট্রেন অবরোধ হয়। এদিন দুপুরে উলুবেড়িয়ায় হঠাৎই কয়েকশো লোক জাতীয় সড়কে বসে পড়েন। তার ফলে অবরোধ শুরু হয়ে যায়। রাস্তার দু’টি লেনই কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। দীঘায় বিজনেস কনক্লেভ থেকে ফেরা বিভিন্ন শিল্পপতি ও অফিসারদের গাড়িও ওই বিক্ষোভে আটকে পড়ে। জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন অবরোধকারীরা। পুলিস প্রথমে বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু, তাতেও অবস্থার সামাল দেওয়া যায়নি। এদিকে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধ থাকায় জাতীয় সড়কের দু’টি লেনেই শয়ে শয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। অবস্থা এমন হয় যে পানীয় জল পর্যন্ত অনেকে পাননি। আশপাশ এলাকার হোটেলেও খাবার শেষ হয়ে যায়। এইভাবে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে অবরোধ কেন করা হচ্ছে, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। অবশেষে বেলা সাড়ে চারটে নাগাদ পথ অবরোধ ওঠে। কিন্তু, জাতীয় সড়কের যানজট মুক্ত হতে রাত হয়ে যায়।
এখানে যানজট ওঠার আগেই ফের উলুবেড়িয়া স্টেশন ও লেভেল ক্রসিংয়ের মাঝে অবরোধ শুরু হয়ে যায়। রেল লাইনে জাতীয় পতাকা পুঁতে অবরোধ শুরু করে প্রচুর লোকজন। সেখান থেকে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। ফলে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। খবর পেয়ে জিআরপি থানার পুলিস এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু, অবস্থার নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁদের বেগ পেতে হয়। এই বিল প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে তাঁরা দাবি জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুধু এই দু’টি জায়গা নয়, এদিন উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধে শামিল হয়েছিলেন এলাকার লোকজন।
এদিন দুপুরে হাওড়া শহরের কাজিপাড়ায় অবরোধে শামিল হন এলাকার লোকজন। তার ফলে জিটি রোড ও ফোরশোর রোডে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিস গিয়ে অবরোধ তোলে। যদিও তার জেরে জি টি রোডে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন দুপুরে কোনাতেও বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ হয়। পরে পুলিস গিয়ে অবরোধ তোলে।