কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্যদিকে ওই বৈঠক থেকেই উঠে এসেছে যে, জেলার সমবায়ের আওতায় থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে চলতি অর্থবর্ষে (২০১৯-২০২০) ১৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এই ঋণের টাকাও সমবায় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমেই দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ৭৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই বাকি টাকা বরাদ্দ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ স্বনির্ভর গোষ্ঠী কৃষি সমবায়গুলির আওতায় আছে। হুগলি জেলা পরিষদের সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে ২৯১টি কৃষি সমবায়কেই ব্যাঙ্কে পরিণত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যে আমরা ২৮০টি সমবায়কে ১৫ লক্ষ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছি। একটি সফটওয়্যার তৈরিও করা হচ্ছে। যাতে অন্যান্য ব্যাঙ্ক যেমন সুযোগসুবিধা দেয় তার প্রায় সমস্ত রকম পরিষেবা এখানেও চালু করা যায়। এগুলি চালু হয়ে গেলে টাকার আদানপ্রদান ও স্থায়ী আমানত রাখার ক্ষেত্রেই আমাদের ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণকেও আমরা এর আওতায় আনছি। ১৫০ কোটি টাকা চলতি অর্থবর্ষে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পাশাপাশি তার অধীনস্থ কৃষি সমবায়গুলিকেও ব্যাঙ্কে পরিণত করার পরিকল্পনা রাজ্য সরকার গ্রহণ করে। এই পরিকল্পনা অনুসারে জেলায় জেলায় কাজ শুরু হয়। হুগলি জেলায় মোট ৩৬১টি কৃষি সমবায় আছে। এরমধ্যে ২৭টিকে প্রথম দফায় ব্যাঙ্ক পরিষেবা দেওয়ার জন্যে নির্বাচিত করা হয়েছিল। এরপরে দ্বিতীয় দফায় ফের ২৬৪টিকে ব্যাঙ্ক পরিষেবা দেওয়ার জন্যে নির্বাচিত করে কাজ শুরু করা হয়েছে। সমবায় স্থায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রযুক্তি কাজ শেষ করে নতুন বছরের প্রথম দিকেই এই ব্যাঙ্কগুলি পরিষেবা দিতে পারবে।