রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারানি ইন্দ্রাদেবী রোডের বাসিন্দা অভিষেক শীলের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে সোনারপুর-মল্লিকপুরের বাসিন্দা বৈশাখী দত্তের বিয়ে হয়। তাঁদের বছর তিনেকের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। এছাড়াও অভিষেকের তিনটে পোষ্য রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি জার্মান শেপার্ড এবং স্পিৎজ। বৈশাখীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, এই তিনটে কুকুরের জন্য প্রতিদিন সকালে ২৫টি করে রুটি তৈরি করতেন বৈশাখীদেবী। তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, সম্প্রতি কুকুরের খাবারের পরিমাণ বাড়াতে বলেন পশু-চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার থেকে সেই রুটির সংখ্যা বাড়ানোর কথা। আর সকালে সেই কথা শোনার পরই ওই গৃহবধূ এত রুটি তাঁর পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে স্বামীকে জানান। সাতসকালে তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই অভিষেক ফোন করে বৈশাখীর মাকে জানান, রুটি করতে পারবে না জানিয়ে গোলমাল করছে তাঁর মেয়ে। মাকে কেন নিজেদের গোলমালের কথা জানাতে গেলেন, তা নিয়ে ফের একপ্রস্থ ঝগড়া হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। পুলিস জানিয়েছে, এরপরই বৈশাখীদেবী বাড়ির শৌচালয়ে ঢুকে ‘শাওয়ার স্ট্যান্ড’ থেকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগান। শৌচালয়ে যাওয়ার আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছেন, যেখানে তাঁর মৃত্যুর জন্য তিনি কাউকে দায়ী করেননি।