গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত, চলতি বছরের জুলাই মাসে। বর্তমানে লেক গার্ডেনস-এর বাসিন্দা ওই মহিলা অনলাইনে নিয়মিত গেম খেলেন। এই গেম খেলার সময় ১২ জুলাই মার্ক অ্যান্ডারসন নামে আমেরিকার এক নামী তেল কোম্পানিতে কর্মরত এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ধীরে ধীরে সেই আলাপ গড়ায় বন্ধুত্বে। এরপর গেমের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেই আলাপ ঘনিষ্ঠতার দিকে মোড় নেয়। চ্যাট ছাড়াও তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কথা বলতে শুরু করেন।
এভাবেই একদিন অ্যান্ডারসন গল্পের ছলে পাঁচ বছর আগে তার ভারতীয় স্ত্রী ও মেয়ের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর গল্প ফেঁদে সহানুভূতি আদায় করে। একটা সময় লেক গার্ডেনসের ওই মহিলা দুর্বল হয়ে পড়েন। এমনই এক দুর্বল মুহূর্তে অ্যান্ডারসন ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে তাঁর থেকে বয়সে ছোট, এই অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যেতে চাইলেও নাছোড় অ্যান্ডারসনের জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হন ওই মহিলা। ঠিক হয়, ভিসা হয়ে গেলে মহিলা আমেরিকা যাবেন। তারপরই তাঁদের বিয়ে হবে।
এরপর আস্থা অর্জনের জন্য অ্যান্ডারসন সুদর্শন এক যুবকের ছবি পাঠায় ওই মহিলাকে। পাশাপাশি বলে, তেল খননের কাজের সূত্রে তাকে মেক্সিকো উপসাগরে চলে যেতে হবে। এর কয়েকদিন পরে হঠাৎ ফোন করে মার্ক জানায়, তার জাহাজে হঠাৎ আগুন লেগেছে। তার এক সহকর্মী গুরুতর জখম। ভারতীয় মুদ্রায় এখনই ২৫ লক্ষ টাকা দরকার। পরে সে টাকা ফেরত দেবে।
এতে প্রভাবিত হয়ে ওই মহিলা মার্কের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কয়েক দফায় ২৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে মার্ক টাকা ফেরত না দেওয়ায় ওই মহিলা বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। প্রথমে লেক থানায় ও পরে লালবাজারের সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা বলছেন, অতীতে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের জালিয়াতি চক্রের নেপথ্যে নাইজেরিয়ানরা জড়িত থাকে। এক্ষেত্রেও সম্ভবত তাই হয়েছে।