পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোনাপট্টি লাগোয়া অংশে যেখানে বড় বিপর্যয় হয়েছিল, সেই দুর্গা পিতুরি লেনের কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে এদিন কথা হচ্ছিল। কথা বলছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ফণিভূষণ রায়। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই এই দোকান বন্ধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম দোকান খুললাম। দেখা গেল, দোকানের ভিতরে ধুলোর পুরু আস্তরণ। লোহার ব্রাশ দিয়ে ওই ব্যবসায়ী দোকান ও দোকানের বাইরের অংশ সাফসুতরো করার চেষ্টা করছেন। আক্ষেপের সুরে তিনি বললেন, দোকান তো খুলেছি, কিন্তু দেখুন, দরজার চৌকাঠের কাছে কেমন বড় ফাটল। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গিয়ে দাঁড়ায়। সেখানেই একটি সরু গলির ভিতরে একটি বাড়ির সামনে দেখা হল ৬৭ বছরের বৃদ্ধা আশা সেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘটনার পর অন্যদের সঙ্গে আমাদেরও বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছিল। আমরা মেট্রো রেলের ঠিক করে দেওয়া একটি হোটেলে বেশ কিছুদিন ছিলাম। এখন আমরা থাকছি মানিকতলায় ওদেরই ঠিক করে দেওয়া একটি ফ্ল্যাটে। দুর্গা পিতুরি লেনে আমাদের বাড়ির একতলা ও দু’তলা অনেকটাই ভালো আছে। বাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমাদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। তবে এই বাড়িতে থাকার অনুমোদন এখনও পাইনি। তবে দু’-চারদিন অন্তর অন্তর এই পুরনো বাড়িটা দেখতে আসি। এত বছর ধরে ছিলাম। কেমন যেন মায়া পড়ে গিয়েছে এই বাড়িটার প্রতি। নিজেদের বাড়িতে থাকা অনুভুতিটাই আলাদা।
এই এলাকারই আরেক বাসিন্দা আশিস চৌধুরী। তিনি বলেন, ঘটনার পর আমাদেরও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা কলকাতার মেছুয়াপট্টি এলাকায় একটি হোটেলে গিয়ে উঠি। সেখানেই থাকতে শুরু করি। পরবর্তীকালে আমাদের বাড়ির যে সব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তা সংস্কার করে দেওয়া হয়। তারপর আমরা ফিরে এসেছি এই বাড়িতেই। একই কথা জানান, চন্দ্রকান্ত সিনহা ও তপন গঙ্গোপাধ্যায়রা। কথা প্রসঙ্গে বলেন, তাঁরা দু’জনেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বাড়িতে ফিরে ভালোই লাগছে। তবে ওই অঞ্চলের কয়েকজন মানুষ জানালেন, যাঁদের বাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের অনেকেই এখন রয়েছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মেট্রো রেলের দেওয়া ফ্ল্যাটে। সব মিলিয়ে এই দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা এলাকাবাসীর মনে।