বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কিন্তু, তড়িঘড়ি এই ভোটের রাস্তায় রাজ্য সরকার যাচ্ছে কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন মহল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গত লোকসভা ভোটে হাওড়া পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টিতে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও এখন পরিস্থিতি কিছুটা বদল হয়েছে। অন্তত একটি সমীক্ষক দলের রিপোর্ট তাই। সে কারণে দ্রুত নির্বাচনের রাস্তায় রাজ্য সরকার যেতে চাইছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, শুক্রবার অথবা আগামীকাল, শনিবারের মধ্যেই খসড়া সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হবে।
হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) প্রভাসকুমার উকিল বলেন, বুধবারই আমরা এই সংরক্ষণ তালিকা তৈরির নির্দেশ পেয়েছি। সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এই তালিকা তৈরির জন্য বেশ কিছু তথ্য দরকার। তার সব আমাদের হাতে নেই। তাই সংগ্রহ করে নির্দেশ মতো শুক্রবারের মধ্যেই খসড়া তালিকা প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, মূলত কোন ওয়ার্ডগুলি তফসিলি জাতি-উপজাতি ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে তার একটি নির্দিষ্ট রোস্টার থাকে। সেই রোস্টার মোতাবেক তা করা হয়। এক্ষেত্রেও তাই করা হচ্ছে। কিন্তু, তফসিলি জাতি বেশি থাকে, এমন ওয়ার্ড জেনারেল করে দিলে প্রতিবাদ আসতে পারে। সেই কারণেই এই তালিকা তৈরির দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ২০১১ সালের জনগণনাকেই ভিত্তি করা হচ্ছে।
গত বছর ১১ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর পুরসভার কমিশনারকেই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। যদিও তার পরেও ৬ জনের একটি প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করা হয়েছিল। গত শুক্রবার ওই প্রশাসকমণ্ডলী ভেঙে কমিশনারকেই প্রশাসক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়। তার মধ্যেই রাজ্য সরকারের পরামর্শে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই পুরসভায় ওয়ার্ড ডিলিমিটেশন করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু, তারপরও তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল হয়। বুধবারই জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ আসে যে, শুক্রবারের মধ্যেই ওয়ার্ডের সংরক্ষণ তালিকা পাঠাতে হবে। কিন্তু, ওয়ার্ড সংরক্ষণ তালিকা তৈরির জন্য বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন হয়। এই তথ্য জেলা প্রশাসন খুঁজে বের করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তালিকা তৈরি করছে। শুক্রবার বিকালের মধ্যেই ওই তালিকার খসড়া প্রকাশ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই মুহর্তে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন হলে শাসকদলের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, এখানে প্রচুর অবাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। নাগরিকত্ব বিল ও এনআরসি ইস্যুতে এই মুহূর্তে তৃণমূল শহর জুড়ে প্রচার চালাচ্ছে। একই সঙ্গে যে সমস্ত এলাকায় গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল, সেখানেও কিছুটা ফিরে এসেছে তৃণমূল। সেই কারণেই জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতেই ভোট করানোর লক্ষ্য নিয়েছে শাসকদল।