গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া উত্থানের পর মে মাসে নৈহাটিতে শেষবার এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার যাত্রাপথে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনতে হয়েছিল। গাড়ি দাঁড় করিয়ে তিনি বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ধমক দিয়েছিলেন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। হাতছাড়া হওয়া ছয়টি পুরসভার মধ্যে পাঁচটি পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল। কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, নোয়াপাড়া, বনগাঁ পুরসভায় ক্ষমতায় ফিরেছে শাসক দল। গেরুয়া শিবিরে যাওয়া তৃণমূল কাউন্সিলাররা ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন। অর্জুন সিংয়ের গড় ভাটপাড়া পুরসভাও পুনরুদ্ধারের পথে। ইতিমধ্যে অনাস্থাপত্র জমা পড়েছে।
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নতুন করে অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছেন। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিজেপি ছেড়ে প্রায়দিন শাসক দলে যোগদান করছেন নেতা কর্মীরা। দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলি পুনরুদ্ধার করছে তৃণমূল। উল্টোদিকে, গেরুয়া শিবিরে হতাশাজনক পরিস্থিতি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিজেপির নেতানেত্রীর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
তবে সিএবি পাশ হওয়ায় নরেন্দ্র মোদির অনুগামীরা কিছুটা উজ্জীবিত। মতুয়াদের বা ওপার বাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তু মানুষদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেক বিজেপি নেতা। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল, নদীয়া জেলায় বহু উদ্বাস্তু মানুষের বসবাস। আগামী ২৭ ডিসেম্বর নৈহাটিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বার্তাও দিতে পারেন বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের।
নৈহাটি উৎসব ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এই উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাসক দলের নেতারাই। ৮ দিন ধরে চলে উৎসব। বিভিন্ন স্টলের পাশাপাশি বইয়ের স্টলও থাকে। সাংস্কৃতিক মঞ্চে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হয় নানান ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবারেও নৈহাটি রেল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে নবম বর্ষের উৎসব। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, এবারের উৎসব বিদ্যাসাগরকে উৎসর্গ করা হয়েছে। উৎসবের উদ্বোধনও করবেন তিনি। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের জন্য আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েক আগে ভাটপাড়ায় যে অশান্তির বাতাবরণ ছিল, তা এখন নেই। ভাটপাড়া পুরসভা আমাদের ক্ষমতায় এলে আরও শান্তি আসবে। একটা বোমাও পড়বে না রাস্তায়।