পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশের ধর্নায় সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রায় সকল কার্যকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। মমতাদেবীর শরীর খারাপ থাকায় উনি আসতে পারেননি। আমরা উনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনীতিগত ভাবে ঠাকুরবাড়ির আড়াআড়ি বিভাজন মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যেও ছড়িয়ে গিয়েছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের কেউ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামী, কেউবা মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামী। লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের কাছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫৯৪ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা। এরপর ধীরে ধীরে দলীয় রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব কমতে থাকে বলে অভিযোগ। ইদানীং তিনি খুব বেশি দলের কোনও কর্মসূচিতে যাচ্ছেনা। বনগাঁ লোকসভা এলাকায় দলের সংগঠন মজবুত করার জন্য দলের তৈরি কোর কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মতলায় এই নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন মতুয়ারা। মঙ্গলবার ও বুধবারও ওই সভায় মমতাবালা ঠাকুরকে দেখা যায়নি। যদিও সভায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্যকরী সভাপতি ধ্যানেশনারায়ণ গুহ, কোষাধ্যক্ষ পিনাকী বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক প্রমথ বসু, গাইঘাটার বিধায়ক তথা উপদেষ্টা পুলিনবিহারী রায়, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎকুমার বিশ্বাস, এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য অমল গাইন সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, মতুয়াদের ধর্নায় ঠাকুরবাড়ির কোনও সদস্য না থাকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই বিষয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা প্রাক্তন সংসদ সদস্য মমতাবালা ঠাকুর বলেন, আমার শরীর ভালো নয়। চিকিৎসক বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে আমি ওই ধর্না মঞ্চে যেতে পারছি না। তাছাড়া, সঙ্ঘের সঙ্গে কথা বলে তবে তো ধর্না মঞ্চ হবে। আমি যেতে না পারলে সম্পাদক, সভাপতি সহ অন্যান্যরা যেতে পারতেন। তাঁদের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা নেই, কোনও আলোচনা করা হয়নি। আমাকে খাদ্যমন্ত্রী ধর্না মঞ্চে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি শারীরিক সমস্যার কথা ওনাকে জানিয়েছি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করবেন কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিলে কী আছে তা পুরোটা জানি না। আমাদের দাবিকে বিলে মান্যতা দেওয়া হলে সমর্থন করব। তবে বিল নিয়ে সকলের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে। ধর্না মঞ্চে থাকা মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্যকরী সভাপতি ধ্যানেশনারায়ণ গুহ বলেন, সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর আলোচনা করে ধর্নায় বসার কথা বলেছিলেন। এরপর দ্রুততার সঙ্গে বিলের বিরোধিতায় ধর্নার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমাদের প্রচার সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ সহ বাইরের অনেকেই ধর্নায় আসছেন। মতুয়ারা আমাদের পাশে রয়েছেন। সিএবি নিয়ে মতুয়ারা বিভ্রান্ত ও ভীত। মমতাদেবী অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। উনি সুস্থ থাকলে নিশ্চই আসতেন।