বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) নীলাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ওই বৃদ্ধা হাই সুগার সহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন। তবে দেহটিতে পচন ধরায় তদন্তকারীরা মনে করছেন, ক’দিন আগেই অঞ্জনাদেবীর মৃত্যু হয়েছে। নীলাঞ্জনবাবু বলেন, পুরোটাই তদন্তসাপেক্ষ। ওঁর স্বামীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হবে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জনাদেবী এলাকায় মিশুকে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গেই কথাবার্তা বলতেন। পড়শিরা জানালেন, ছেলে ছুটি পেলে মাঝেমধ্যে আসত। তবে গত দু’দিন ধরে ওই বৃদ্ধাকে পড়শিরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। প্রথম দিন বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলেও দু’দিন কেটে যাওয়ার পর তাঁদের সন্দেহ হয়। এদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এক পড়শি বললেন, আমরা প্রথম দিন অঞ্জনাদেবীকে দেখতে না পেয়ে তাঁর দরজার সামনে ডাকাডাকি করেছিলাম। সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেবেছিলাম, উনি হয়তো শুনতে পাননি। পরের দিন কেটে গেলেও তাঁকে দেখতে না পেয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। এদিকে, বাড়ির আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পর্ণশ্রী থানায় খবর দিই। থানার আধিকারিকরা ফোনে বলেন, আমরা গিয়ে দরজা ধাক্কাধাক্কি করি। কিন্তু সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ঘরের ভিতরেও তিনি নেই। কিন্তু দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। এরপরই বাথরুমের দরজা ধাক্কা মেরে খুলে দেখা যায়, তিনি মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা জানান, অন্তত দু’-আড়াইদিন আগে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে নাকতলায় একটি বাড়ি থেকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করতে হয়েছিল এক প্রৌঢ়ার দেহ। তাঁরও স্বামী তিন মাস আগে মারা গিয়েছেন। মেয়ে বিবাহসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। ওই প্রৌঢ়াও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একা ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন। সেই সময়ও একাকীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তদন্তকারীদের কথায়, কারও পাশে না থাকার কারণে একাকীত্বে অবসাদ চলে আসে। তাতেই নানা রোগব্যাধি বাড়ে। মৃত্যু পর্যন্ত হয়।