বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এক কামরার ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ বাবা ও অসুস্থ মাকে নিয়ে থাকতেন রাজা দাস। তাঁর মা একটি অপারেশনের পর চিকিৎসার প্রয়োজনে এখন নাগেরবাজারের কাছে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকেন। তাঁর বাবা স্বপন দাস এদিন দুপুরে বলেন, এক বন্ধুর বাড়িতে রাতে থাকব বলে ছেলে তাঁকে ফোনে শেষ কথা সেটাই জানিয়েছিল। সে ছেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু, খটকা লাগায় আমি বুম্বাকে ফোনে বলি যে ওই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলব। তখন যে গলাটা শুনি তাতে বুঝতে পারি সে ওই বন্ধু নয়। আমি বলি ওর গলা এটা তো নয়। তখন ফোনটা কেটে দেওয়া হয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে আমার ওই ঘটনা শুনে সেই বন্ধুটি একবারও এদিন আমার বাড়িতে এল না। আমি চাই সত্য উদ্ঘাটিত হোক।
সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ দেহটি এলাকার লোকেরা পড়ে থাকতে দেখেন। দেহটি এমনভাবে পড়েছিল যে চেনা যাচ্ছিল না। রাজা দাসের বাবা জানতে পারেন সকাল সাড়ে সাতটার পর। অন্যান্য দিন রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বাড়ি ফিরলেও মঙ্গলবার না ফেরায় স্বপনবাবু ছেলেকে ৪ বার ফোন করেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে বুম্বার শেষ কথা হয়। তখন বুম্বা তাঁকে তেঘড়িয়ায় রয়েছে বলে জানান বলে এদিন তিনি জানিয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় রাস্তার ধারে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ এদিন পাওয়া যায়নি। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হবে মৃত যুবকের কললিস্ট।
স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ সাহা জানান, এদিন সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ আমি দেখলাম ড্রেনের উপরে দেহটি পড়ে রয়েছে। একটি ফুলহাতা গেঞ্জি ও জিন্সের প্যান্ট পড়েছিল। জিন্সের প্যান্টটা কোমর থেকে অনেকটা নীচে নামানো ছিল। পিছনের পকেটে ছিল মানিব্যাগ। মাথার মাঝখানে পিছনের দিকে রক্ত বেরোচ্ছিল। গলার কাছে কালশিটে দাগ হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুখের অর্ধেকটা অংশ ড্রেনের জলে ডোবা ছিল। পুলিস দেহটি তোলার পরই চিনতে পারেন পাড়ার লোক। সেখানে ওর মোবাইলটি খোঁজার জন্য পুলিসকর্মীরা ড্রেনের পাঁক তোলেন। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিস দেহটি নিয়ে চলে যায়। এলাকার দোকানদার বিজয় গুপ্ত জানান, প্রতিদিন সকালে চিপস নিতে আসত আমার কাছে। কাল সকালেও নিয়েছে। সবারই খুব খারাপ লাগছে। পুলিস সূত্রের দাবি, প্রাথমিকভাবে খুনের ঘটনা মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সবরকম সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।