বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কিছুদিন আগে বিআইএসের কাছে খবর আসে, হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায় অবৈধভাবে প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের কারখানা খোলা হয়েছে। এমনকী বোতল বা জারে বিআইএস-এর লোগো রয়েছে। যা পুরোপুরি জাল। আবার অনেক কোম্পানি আছে, যারা বিআইএসের লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর তা আর নবীকরণ করেনি। অথচ ওই লোগো তারা ব্যবহার করে চলেছে। এই জল রেল স্টেশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। মিনারেল ওয়াটার বলেই তা চালানো হয়। এরপরই বেশ কিছু কোম্পানির সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়। সেখান থেকে হাওড়ার দুটি কোম্পানিকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, মেয়াদ ফুরনোর পরও তারা বিআইএসের লোগো ব্যবহার করে জল বিক্রি করছে। বুধবার সেখানে তল্লাশিতে যান অফিসাররা। হাওড়ার বালটিকুরিতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, হাজার হাজার জলের বোতল ভরা হচ্ছে। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা যায়, সব বোতলেই বিআইএসের ছাপ লাগানো রয়েছে। তা ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে কি না, দেখতে চান কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা। কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, এই কোম্পানির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে আট মাস আগেই। তারপরেও কারখানাটি চালানো হচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে, যে জল ভরা হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিম্নমানের। সাধারণ জলের মধ্যে কিছু রাসায়নিক মিশিয়ে বোতলে ভরা হচ্ছে। যাতে তার স্বাদ মিনারেল ওয়াটারের মতো হয়। বোতলের গুণগত মানও অত্যন্ত খারাপ। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ জলের বোতল সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা গিয়েছে, ৫০০ থেকে দু’লিটারের জলের বোতল এখানে তৈরি করা হতো। পরে এজেন্ট মারফৎ তা পৌঁছে যেত বিভিন্ন জায়গায়। অন্য আরেকটি কারখানায় তল্লাশিতে গিয়েও একই সামগ্রীর খোঁজ পেয়েছেন অফিসাররা।
জানা গিয়েছে, বিআইএসের লোগো নকল করে ভুয়ো জলের কোম্পানি খুলে ব্যবসা চালাচ্ছে অনেকেই। এর পিছনে একটি বড় চক্র কাজ করছে। ছোট ছোট কারখানা খুলে প্যাকেটজাত জলের বোতল তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের জলের ফ্যাক্টরি নিয়ে তথ্য জোগাড়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।