পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মাতলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত হল ক্যানিং মহকুমা শহরের একেবারে অভিজাত এলাকা। বড় বড় দোকানপাট, বাজার থেকে সরকারি অফিস সব এই অংশের মধ্যে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর দিঘিরপাড় এলাকা হল বিপ্লব সেন ও তার দলবলের মুক্তাঞ্চল। বছর কয়েক আগেও সে মুম্বইতে সোনার দোকানে কাজ করত। আচমকা সেখান থেকে ক্যানিং চলে আসে। এরপর শাসকদলের একটি গোষ্ঠীর ছত্রছায়াতে দাদাগিরি শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওইখানে একটি নিষিদ্ধপল্লি রয়েছে। সেখানে মহিলাদের ভয় দেখিয়ে নানাভাবে চাপ দিয়ে মোটা টাকা আদায় করে। এছাড়া, এলাকায় সরকারি প্রায় ৩০ বিঘা ভেড়ি দখল করে তার ভোগদখল করছে। পাশাপাশি সুদে টাকা খাটানো থেকে যাবতীয় অবৈধ ব্যবসা করে সে। এলাকার মানুষ নানাভাবে অত্যাচারিত হলেও বিপ্লবের দাদাগিরির ভয়ে কেউ টুঁ শব্দ করতে পারে না। কারণ, তার পিছনে শাসকদলের কয়েকজন দাদা মদত দিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে ৭ নম্বর দিঘিরপাড় এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে নানা অজুহাতে জুলুম চালাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার রাতে একটি বাড়ি ভাঙচুর করে। মারধর করা হয় কয়েকজন মহিলাকে। তার জেরে মহিলারা অতিষ্ঠ হয়ে রাতে ক্যানিং থানায় হাজির হন। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে যায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় বাসিন্দারা। তার পরিপ্রেক্ষিতে সাদা পোশাকে একটি পুলিসের দল অনেক রাতে ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিস যখন বিপ্লবকে ধরতে যায় সেই সময় ঘরের ভিতর থেকে সে গুলি চালায়। তাতেই এক পুলিস কর্মীর গুলি লাগে। এরপর বিপ্লব কয়েকজনকে নিয়ে মোটরবাইকে পালিয়ে যায়। সেই খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশাল ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। যদিও তার আগেই সে পালায়।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ছিল বিপ্লবের বিরুদ্ধে। একবছর আগের সেই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু তা করেও দমানো যায়নি। বহাল তবিয়তে এলাকায় দাদাগিরি করে যাচ্ছিল। শাসকদলের একটি অংশের সঙ্গে যোগ থাকায় থানাও সেভাবে সক্রিয় হতে পারেনি। ফলে পুলিসকেও পরোয়া করত না। মঙ্গলবার সেই কারণে পুলিস ধরতে গেলে গুলি চালাবার সাহস করেছে।