কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তরা ক’দিন আগে পুলিসের গুলিতে মারা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের মধ্যেই বিহারের বক্সারের একটি কারাগারে ফাঁসির দড়ি তৈরির নির্দেশ আসে। সেই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা চলছে, তাহলে কি খুব শীঘ্রই দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ধর্ষকদের ফাঁসি নির্দেশ কার্যকর হতে চলেছে? উল্লেখ্য, বক্সারের কারাগারটি ফাঁসির দড়ি তৈরি করার জন্য বিখ্যাত। সংসদ ভবন হামলার আসামি আফজল গুরুকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য শেষবার এই কারাগার থেকেই দড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল। এবার ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০টি দড়ি তৈরি ও সরবরাহ করার সরকারি নির্দেশিকা সেখানে গিয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে এদিন কামদুনি কাণ্ডের রেশ হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ জুন ডিরোজিও কলেজের এক ছাত্রী, বর্ষণমুখর দুপুরে একাকী কামদুনির বাড়িতে ফিরছিলেন। বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে এক পাঁচিলঘেরা বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গণধর্ষণ করে ও নারকীয়ভাবে তাঁকে হত্যা করার পর দেহটি পাঁচিলের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতের কাছেই ওই ঘটনা ঘটায় সারা রাজ্যেই তোলপাড় পড়ে যায়। সিআইডি ঘটনার তদন্ত করার পর নগর দায়রা আদালত আনসার আলি, আমিন আলি সইফুল ও আলি মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আমিনুল ইসলাম, শেখ ইমানুল ইসলাম ও ভোলানাথ নস্করকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আসামিরা সেই নির্দেশ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। অন্যদিকে সাজা চূড়ান্ত করতে পুলিসও এসেছিল হাইকোর্টে। সেইসূত্রে বিষয়টি সেখানেই এখনও বিচারাধীন। এই অবস্থায় মৃতের ভাই এবং ওই ঘটনার পর প্রতিবাদী মুখ হিসেবে চিহ্নিত স্থানীয় মাস্টারমশাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এদিন হাইকোর্টে আসেন। দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি করার আবেদন নিয়ে তাঁরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।