পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলকাতার যাদবপুর, চারু মার্কেট, কড়েয়া, নেতাজিনগর, উল্টোডাঙার মতো থানা এলাকায় ‘স্কিমার’ মেশিন লাগিয়ে এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে অভিযুক্ত চারজন রোমানিয়ান নাগরিক এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে দিল্লিতে তল্লাশি চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা। এদিকে, ধৃত সিলভিউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাঁচ সদস্যের এই গ্যাংয়ের তৌসিফ মৌরারুকে ২০ নভেম্বর দিল্লি পুলিস ১৪ নম্বর ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে সে দিল্লির রোহিনী জেলে বন্দি। শহরের এটিএম জালিয়াতিতে জেলবন্দি মৌরারুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান লালবাজারের গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, ধৃত সিলভিউয়ের ল্যাপটপ থেকে প্রচুর এটিএম কার্ডের ডেটা উদ্ধার হয়েছে।
এই এটিএম জালিয়াতির তদন্ত যা এগিয়েছে, তাতে ২০১৮ সালে শহরের গোলপার্কে কানাড়া ব্যাঙ্কের এটিএমে ‘স্কিমার’ মেশিন লাগিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় ধৃত রোমানিয়ান গ্যাংয়ের ‘মোডাস অপারেন্ডি’-র সঙ্গে এবারের রোমানিয়ানদের অপারেশন স্টাইলের একটা মৌলিক পার্থক্য লক্ষ্য করেছে লালবাজার।
কী সেই পার্থক্য? গোয়েন্দারা বলছেন, প্রথমত, ২০১৮ সালে রোমানিয়ান গ্যাংয়ের সদস্যরা যে এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত, তার ২০০ মিটারের মধ্যেই এটিএম থেকে টাকা তুলত তারা। এবার সেটা করছে না। এবার ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে কমপক্ষে পাঁচ কিমি দূরের এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ২০১৮ সালে রোমানিয়ান গ্যাংয়ের সদস্যরা একটা ফ্ল্যাটে সবাই থাকত। কিন্তু এবার ছোট ছোট টিমে ভাগ হয়ে তারা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দিল্লিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছিল। তৃতীয়ত, গোয়েন্দারা পিছু নিয়েছে এটা বুঝতে পেরেই নিজের পাসপোর্ট রাস্তায় ফেলে দেয় সিলভিউ। কেননা, বিদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতীয় আইনে তার দেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়ে থাকে। এবার রোমানিয়ানদের এটাও একটা নয়া কৌশল, বলছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালের বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতায় আনা হয় ধৃত সিলভিউকে। তাকে এদিন দুপুরে আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে আদালত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।