গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোনা পাচারের অভিযোগে ধৃত কেরিয়ারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সিন্ডিকেট গড়ে চোরাই সোনার কারবার চালানো হচ্ছে। সেখান থেকেই উঠে আসে গোবিন্দ মালব্য নামে এক ব্যক্তির নাম। অফিসাররা জানতে পারেন, ইনি একটি সিন্ডিকেটের বড় মাথা। যে সমস্ত সিন্ডিকেট কলকাতায় কাজ করছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় গোবিন্দর সিন্ডিকেট। খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকে তার কাছ চোরাই সোনা এসেছে। যা রাখা রয়েছে গোবিন্দের কালীচরণ ঘোষ রোড ও তার সহযোগী ফিরোজ মুল্লার দেশপ্রিয়নগরের ফ্ল্যাটে। দুটি টিম একযোগে দুটি জায়গায় হানা দেয়। তল্লাশিতে দেখা যায়, আলমারির মধ্যে বিশেষ খাপ তৈরি করে সোনা রাখা রয়েছে। বেশিরভাগটাই সোনার বিস্কুট। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ২৬.৬৫ কেজি সোনা। ফিরোজকে জেরা করে জানা যায় সিঁথি এলাকায় তাঁর একটি সোনার দোকান রয়েছে। চোরাই সোনা সেখানে গলানো হয়। এরপর সেখানে হানা দেন আধিকারিকরা। সেখান থেকে মেলে ৫৫২.০৩ গ্রাম গয়না। এগুলি চোরা পথে আসা সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার দাম প্রায় ১০.৫৭ কোটি টাকা। তাদের জেরা করে আরও আটজনের নাম পাওয়া যায়। যারা এই সিন্ডিকেটে জড়িত। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় দশজনকে।
গোবিন্দকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, কলকাতা থেকে সোনা যাচ্ছে মুম্বই ও রায়পুরে। কোন ট্রেনে তা পাচার হচ্ছে, তার নামও হাতে আসে তাঁদের। জোগাড় করা হয় দুই কেরিয়ারের টিকিট নম্বর। তার ভিত্তিতে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় ডিআরআইয়ের অন্য ইউনিটকে। তারা ওই দুই স্টেশনে পৌঁছে যায়। দু’জায়গা থেকে দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় যথাক্রমে ৮ ও ৭ কেজি সোনা। তদন্তে উঠে এসেছে, এই সোনা দুবাই ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রথমে বাংলাদেশে আনা হয়। সেখান থেকে আসে কলকাতায়। ধৃতদের সঙ্গে বাংলাদেশে সোনা পাচারের পাণ্ডাদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। অর্ডার মতো মাল পাঠানো হচ্ছে। সীমান্তের ওপারে কারা এই চক্র চালাচ্ছে, তাদের নাম জানার চেষ্টা হচ্ছে।