কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিত বসু বলেন, আমাদের ক্লাবের সুইমিং পুলে সত্যব্রতবাবু গত তিন দশক ধরে সাঁতার কাটতেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও এসেছিলেন। কিন্তু এমন ঘটনা যে ঘটে যাবে, তা কেউই আঁচ করতে পারেননি। সত্যব্রতবাবুর দুই ছেলে। একজন কলকাতার বিশিষ্ট ক্যান্সার সার্জেন। দ্বিতীয়জন আমেরিকায় থাকেন। তিনি সদ্য পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আমেরিকা ফিরে গিয়েছেন। তাঁকে বিকেলে খবর দেওয়া হলে তিনি এদিনই বিমানে উঠেছেন। তিনি ফিরলে তারপর সত্যব্রতবাবুর শেষকৃত্য হবে বলে খবর। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, আমার অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন সত্যব্রতবাবু। দেখা হলেই, আমাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো।
সত্যব্রতবাবু প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সাঁতার কাটতে আসতেন। যে সুইমিং পুলে তিনি নামতেন, সেখানে দক্ষ সাঁতারু ছাড়া আর কাউকেই নামতে দেওয়া হয় না। সত্যব্রতবাবু ছাড়াও আরও অনেকে সেখানে সাঁতার কাটেন। এদিন ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বললেন, প্রতিদিনের মতোই সকাল সওয়া ৯টায় সত্যব্রতবাবু ক্লাবে আসেন। পোশাক বদল করে সুইমিংয়ের পোশাক পরে তিনি সাড়ে ৯টা নাগাদ জলে নামেন। তার আগে তিনি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু কখন যে তিনি সাঁতার কাটতে কাটতে তলিয়ে গিয়েছেন, তা কারও নজরে আসেনি। এদিকে, দীর্ঘ সময় পরেও সত্যব্রতবাবু বাড়ি না ফেরায় তাঁর ছেলে গাড়ির চালককে ফোন করেন। চালক তাঁকে জানান, সত্যব্রতবাবু এখনও বের হননি। বিষয়টি নিয়ে তাঁর চিন্তা শুরু হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই ক্লাবে ফোন করেন এবং বিষয়টি দেখতে বলেন। এরপরই ক্লাব কর্তৃপক্ষ পোশাক বদলের রুমে গিয়ে দেখেন, সত্যব্রতবাবুর পোশাক সেখানে রয়েছে। তাহলে ওই প্রৌঢ় গেলেন কোথায়? ক্লাবের সর্বত্র খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এরপরই কয়েকজন ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁরা সত্যব্রতবাবুকে অনেকক্ষণ ধরে জলের মাঝখানে ডুব সাঁতার কাটতে দেখেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব ডুবুরি ও বোট নামায় কর্তৃপক্ষ। ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। এরপরই সত্যব্রতবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের সুইমিং পুলে জলের গভীরতা ১৬ ফুট। রয়েছেন চিকিৎসক, ওয়াচম্যান সহ সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও। তবে ওয়াচম্যান থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি ডুবে গেলেন বা তাঁর নজরদারির বাইরে চলে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্লাব কর্তা অমিতবাবু বললেন, ওয়াচম্যান এক ঘণ্টা ধরে নজরে রেখেছিলেন সবাইকে। সত্যব্রতবাবুকে নামতেও তিনি দেখেন। তিনি মাঝেমধ্যেই ডুব সাঁতার দিতেন। তাই সেদিকে আর বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।