পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু রোডের একটি ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় মুচিপাড়া থানার এএসআই মধুসূদন দত্তের বাড়ি। তাঁর স্ত্রীর নাম শান্তি দত্ত। সোমবার সন্ধ্যার কিছু আগে মধুসূদনবাবু অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁর ছেলে কৃষ্ণ দত্ত দুপুরে কাজে বেরিয়ে ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আচমকাই ঘরের মধ্যে আগুন লাগে। ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ দম্পতিকে দৌড়তে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘরের গ্রিলে তালা থাকাও স্থানীয় কেউ ঘরের মধ্যে ঢুকতে পারেনি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিসের পাশাপাশি দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর তালা ভেঙে অগ্নিদগ্ধ দম্পতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে আর জি কর হাসপাতালে শান্তিদেবীর মৃত্যু হয়। এদিন সন্ধ্যায় মধুসূদনবাবুর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধূর দাদা মধ্যমগ্রাম থানায় এসে মধুসূদনবাবুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যায় জামাইবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। নোটনবাবু বলেন, গত একমাস ধরে দিদি আমাদের ফোনে অত্যাচারের কথা জানাচ্ছিল। দিদি বারবার বলছিল, তোর জামাইবাবু আমাকে খুন করবে। আমাদের সন্দেহ দিদিকে খুন করা হয়েছে। সোমবার সকালেও দিদির সঙ্গে কথা হয়। সেই কারণে আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু জামাইবাবুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমরা অভিযোগ তুলে নিয়েছি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যদি না থাকেন তাহলে আর কেস করে কি লাভ?