কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর ভোরে নারকেলডাঙা থানার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডে ফুটপাত থেকে এক সাত বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় যুবক মুস্তাকিন ওরফে মস্তান। এরপর ওই শিশুকন্যার মুখ চেপে ধরে তাকে খালের ধারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর যৌন হয়রানি করা হয়। স্থানীয় এক যুবক তা দেখতে পাওয়া মাত্রই অভিযুক্ত সেখান থেকে চম্পট দেয়। পরে ওই যুবক শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দেয়। এরপর তার বাবা এফআইআর দায়ের করতে লিখিত অভিযোগ নিয়ে নারকেলডাঙা থানায় যান। অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা তাঁকে ওই থানায় বসিয়ে রেখে শেষ পর্যন্ত মামলা রুজু না করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় উল্টোডাঙা মহিলা থানায়। সেখানে ওই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করেন ওই শিশুকন্যার বাবা। মামলার তদন্ত শুরু করেন রত্না সরকার নামে এক এসআই। তিনি নির্দিষ্ট সময়ে শিয়ালদহের পকসো আদালতে চার্জশিট পেশ করেন। চার্জ গঠন করে শুরু হয় মূল মামলার বিচার প্রক্রিয়া। বিচার চলাকালীন নারকেলডাঙা থানার গাফিলতির বিষয়টি বিচারকের নজরে আসে। এরপরই ওই থানার ওসিকে শো কজ করেন তিনি। লিখিতভাবে শো কজের জবাব দেন ওসি। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারক। এরপরই এদিন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়।
এদিন এই মামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ মুস্তকিন ওরফে মস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। বিচারক ওই সাজার সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও অতিরিক্ত ছ’মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দেন। রায়দানের এক মাসের মধ্যে ওই শিশুর জন্য তার পরিবারকে চার লক্ষ টাকা দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে, উল্টোডাঙা মহিলা থানার তদন্তকারী অফিসার রত্না সরকারের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। এবিষয়ে বিচারক রায়ের প্রতিলিপি পাঠানোর নির্দেশ দেন কলকাতার পুলিস কমিশনারকে।