পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আগামী এপ্রিল মাসে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। গত শুক্রবারই নগরোন্নয়ন দপ্তর পুরসভায় যে ছ’জনের প্রশাসকমণ্ডলী ছিল, তা ভেঙে দিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেতের উপর বিষয়টি আটকে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সংকেত দেওয়ার পরই ডিলিমিটেশন নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপরই কমিশন এই ব্যাপারে হাওড়া জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়। পুর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিলিমিটেশন হওয়ার পর হাওড়া পুর এলাকায় কমপক্ষে ৮০টি ওয়ার্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, ওয়ার্ডের সীমানা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সমস্ত এলাকায় ভালো পরিষেবা দেওয়া যায়। তাছাড়া বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতিকেও হাওড়া পুরসভার মধ্যে আনা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। কারণ, ওই এলাকাটি হাওড়া শহর লাগোয়া। এই এলাকায় প্রচুর শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু, পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত এলাকা হওয়ায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কিছুটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। পুর এলাকার মধ্যে এই এলাকাকে ঢুকিয়ে দেওয়া হলে এই এলাকার জন্য আর্থিক বরাদ্দও বাড়বে। তার ফলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন আরও ভালো করা যাবে। তবে এই নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত যে ৬৬টি ওয়ার্ড এখন পুরসভায় আছে, সেখানেই ডিলিমিটেশন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, কিছু কিছু ওয়ার্ডের জনসংখ্যা এত বেশি যে সেই ওয়ার্ডটি ভেঙে দু’টি করার প্রয়োজন। তাই পুরভোটের আগে শহরের ডিলিমিটেশন করার জন্য আমরা পুর দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। ডিলিমিটেশন হলে শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে ওই এলাকার উন্নয়নও অনেক ভালোভাবে করা যাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য শহরের উন্নয়ন। সেই দিকেই আমরা এগচ্ছি। পুর দপ্তরের এক কর্তা বলেছেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই হাওড়া পুরসভায় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার আগেই ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তারপরই নির্বাচন কমিশন পুরসভার নির্বাচন নিয়ে দিন ঘোষণা করবে।